আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনে পিবিআই-এর দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি পিটিশন দিয়েছেন তার বাবা মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালতে তিনি নারাজি পিটিশনটি দাখিল করেন। এক পর্যায়ে আদালত সেটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছে।
নগর পুলিশের এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৫ জানুয়ারি মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার বাবা মোশাররফ হোসেনের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। সেখানে থাকা তথ্য উপাত্তসমূহ স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলায় একীভূত করতে আবেদন জানানো হয়।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি মিতুর বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা বাবুলকে তার নিজের করা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখাতে আদেশ দেয় আদালত। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতের কাছে সংক্রান্ত আবেদনটি করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এই ঘটনায় তখন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে। উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত বছরের ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
সেটিতে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
পিবিআই-এর ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একই বছরের ১৫ অক্টোবর আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন বাবুল আক্তার। ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে নারাজি পিটিশনটিও খারিজ করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট এবং মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়।
বাবুলের মামলায় পিবিআই যেদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সেদিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুলের শ্বশুর মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন নতুন একটি মামলা করেন। শ্বশুরের করা সেই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করে।
এক পর্যায়ে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। সেই থেকে তিনি ফেনী কারাগারে আছেন।