পিতা নবম ও পুত্র এসএসসি পাস করেই ‘ডাক্তার’, দুজনকেই কারাদণ্ড

| মঙ্গলবার , ৫ মার্চ, ২০২৪ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

 

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ম

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ভুয়া চিকিৎসক পিতাপুত্রকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ।এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার, রোগী দেখা, সীল মোহর বানানো এবং ব্যবস্থাপত্র দেয়ার দায়ে দুইজনকে এক মাস ও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

দণ্ডিতরা হলেনটাঙ্গাইলের গোপালপুরের দক্ষিণ পাথালিয়ার মো. হারুন সওদাগর (৫৫) ও তার ছেলে মো. রাকিব হাসান (২৪)। এর মধ্যে হারুন নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে এবং তার ছেলে রাকিব এসএসসি পাস করেছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছে।

জানা গেছে, মো. হারুন সওদাগর ও তার ছেলে মো. রাকিব হাসান নিজেদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে রোগী দেখা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, সীল মোহর ব্যবহার ও আয়ূবেদিক ওষুধ বিক্রি করে আসছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের কাছে অপরাধ স্বীকার করায় বাংলাদেশ ওষুধ আইন১৯৪০ এর ৩৭ ধারা মোতাবেক মো. হারুন সওদাগরকে ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মো. রাকিব হাসানকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ড প্রদানের পর তাদের পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক কেজি এলাচের দাম হতে পারে ১৫০০ টাকা, বিক্রি ৩০০০ টাকায়
পরবর্তী নিবন্ধচুরি করা টাকা ও স্বর্ণ বিক্রি করে মাইক্রো ক্রয়