বায়েজিদে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর বাদীর নারাজি বিষয়ে শুনানির আদেশ পেছানো হয়েছে। গতকাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত আগামী ১১ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী ধার্য্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার ধার্য্য তারিখে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর বাদীর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এসময় বাদীর জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়। কিন্ত এ বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দেয়নি। আগামী ধার্য্য তারিখে আদালত এ বিষয়ে আদেশ প্রদানের কথা রয়েছে ।
গতবছর ১৯ আগস্ট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বায়েজিদ থানা পুলিশের আট সদস্য ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা (নং-২৯৩/২০২০ইং) দায়ের করেন বায়েজিদের সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুল ওয়াহেদ।
আসামিদের বিরুদ্ধে দাবিকৃত টাকা না পেয়ে বাদীসহ চারজনকে ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ আনা হয়। এ সময় আদালত অভিযোগের বিষয়টি নগর পুলিশের ডিসিকে (উত্তর) তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেন। গতবছর নভেম্বরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনে বাদীর অভিযোগের কোনো ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ ছিল। গত ৪ জানুয়ারি পুলিশের প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেয় মামলার বাদী। একই সাথে মামলাটি ভিন্ন কোনো সংস্থাকে দিয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
গত ১৪ জুলাই বায়েজিদ মুরাদ নগরে জামাল কলোনীর একটি বাসা থেকে ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ হাজী মোহাম্মদ হোসেন (৪০), মো. আব্দুল ওয়াহেদ (২৮), মো. হানিফ (৪৫) ও আবুল হোসেন (২৮) নামে চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা (নং-১৮/২৮৬) করে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২৩ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে আসামিরা। পরে ১৯ আগস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আাদলতে একটি মামলা (নং-২৯৩/২০২০ ইং) দায়ের করেন।