পি কে হালদারসহ ৬ জনের ১১ দিনের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ২৮ মে, ২০২২ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরপে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১১ দিনের বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে এ আদেশ দেন বিচারপতি সৌভিক ঘোষ। আগামী ৭ জুন পর্যন্ত এই রিমান্ড চলবে। অপর ৫ আসামি হলেন- প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। ভারতের অর্থ গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা কারাগারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
গ্রেপ্তারের পর পি কে হালদারকে আদালতে হাজির করলে প্রথম দফায় তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে তাকে আদালতে হাজির করলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। সর্বশেষ গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে ইডির পক্ষ থেকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে (জেল হেফাজত) দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত ১১ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এক নারীসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে ‘হাওয়ালা’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে টাকা পাচারের অভিযোগে ২০০২ সালের আইনে মামলা করা হয়। পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা ও সম্পত্তিতে এসব অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনেও একটি মামলা করা হয়।
শুক্রবার ইডি পক্ষের আইনজীবী বলেন, এখনও পর্যন্ত ইডি যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে, তার কোনো আয়ের উৎস পি কে হালদার বা তার সহযোগীরা দেখাতে পারেননি। দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে, যাতে প্রমাণ হয় পি কে হালদার এবং তার সহযোগীরা ভারতজুড়ে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল। কলকাতা এবং এর উপকণ্ঠে ইডি এমন ১৩টি সংস্থার খোঁজ পেয়েছে যেগুলো পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের গড়া। বাংলাদেশ থেকে আনা অর্থ মূলত আবাসন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ভারতে থাকা তাদের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি ভারত ও বাংলাদেশের দুই দেশের বিষয়। যদি দুই দেশের সরকার চায় তাহলে আইনি জটিলতা সরিয়ে পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ফেরত পাঠানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাসা পরিবর্তন নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া এরপর আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধএখনই ব্যবস্থা নিলে মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণ সম্ভব : ডব্লিউএইচও