খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, “রাঙামাটিতে পর্যটন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সকলেই চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এবং সেই দাবির প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী তাদের অভিযান চালু করেছে। এ অভিযান অব্যাহত আছে। এ অভিযান ব্যাপক এবং তীব্র করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে রাঙামাটিতে চাঁদাবাজি অনেকটাই কমে গেছে।”
তাই সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ সহ সকল যৌথবাহিনীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাঙামাটি চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, সম্ভাবনা এবং সম্প্রসারণে করণীয়’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “পর্যটন হলো তিন পার্বত্য জেলার (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান) জন্য প্রধান একটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সব সময় শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এতে নিজেদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।”
মত বিনিময় সভায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, এখানকার পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে হলে উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বাজার ফান্ডের ভূমি বন্দোবস্ত চালু করতে হবে।
বক্তারা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে বিগত বছরগুলোতে আমরা ব্যবসায়িকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
এসময় রাঙামাটি চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মো. হাজী কামালউদ্দিন, রাঙামাটি চেম্বার-এর পরিচালক মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম এসোসিয়েশন-এর সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি উইমেন্স চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভানেত্রী আনোয়ারা বেগম, রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাওন ফরিদ, রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মিজান সহ রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতি সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।