বাংলাদেশ রেলওয়ের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে (মেরামত কারখানায়) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাহাড়তলী কারখানায় পুরোনো স্ক্র্যাপ মালামালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণকক্ষের ইসমাইল হোসেন আজাদীকে জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে পাহাড়তলী কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ৯টা ৪৩ মিনিটে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি জানান, গ্যাস ওয়েল্ডিং স্পার্কিং হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের সিএইচআর শপে স্তূপ করে রাখা পুরোনো স্ক্র্যাপ মালামালে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানায়। তবে আগুন লাগার কারণ নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। রেলের একটি সূত্রের দাবি, ওই এলাকায় বর্তমানে কোনো কাজ চলমান নেই এবং বৈদ্যুতিক সংযোগও নেই। সে কারণে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা কম। এ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানোর আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
তবে রেলের আরেকটি সূত্র জানায়, নিলামে বিক্রি হওয়া স্ক্র্যাপ মালামাল গ্যাস হোল্ডার দিয়ে কেটে টুকরো করার কাজ চলছিল। এ সময় আগুনের ফুলকি বা তাপ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাহাড়তলীর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (কারখানা) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, ওয়ার্কশপের পুরোনো স্ক্র্যাপ মালামালে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
পাহাড়তলী কারথানার কর্মব্যবস্থাপক (নির্মাণ) রাজিব দেবনাথকে প্রধান করে কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সিনিয়র সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী সালেহ একরাম ও কমান্ড্যান্ট (আরএনবি) শহীদুল ইসলাম।
তিনদিনের মধ্যে তাদেরকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন।
