টেকনাফ ও উখিয়া ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় নারীসহ দু’রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বর্ষণের ফলে পাহাড় ধস ও পাহাড়ের টিলা কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, টেকনাফ চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের নুর হাসিনা (২০) ও উখিয়ার ময়নার ঘোনা ১২ নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ (৩২)।
৮ এপিবিএন পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোন্দকার আশফাকু জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজাদীকে বলেন, শনিবার সকালে মাটি চাপা পড়ে নিহত দুজন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এপিবিএন সূত্রে আরো জানা যায়, টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভোরে অতি বর্ষণে পাহাড় ধসে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী নুর হাসিনা মাটি চাপা পড়ে। খবর পেয়ে ১৬ এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের সেভ দ্যা চিল্ড্রেন হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোহিঙ্গা মহিলাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সে ব্লক এ এরসে ১৮ নম্বর বাড়ির শাকের আহমদের স্ত্রী।
অপরদিকে পাহাড়ের মাটি খনন করতে গিয়ে রহিম উল্লাহ মাটিতে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি চাপা পড়া অবস্থায় রোহিঙ্গা রহিম উল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি ৭ নম্বর জে ব্লকের অছিউর রহমানের ছেলে। ১৪ এপিবিএন ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈমুল হক আজাদীকে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে নিহত রোহিঙ্গাদের লাশ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, বাংলানিউজ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে জুনের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে। শনিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাঙামাটিতে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। কারণ পুরো শহরটা পাহাড়ের উপর। জুনের প্রথম দিন থেকে রাঙামাটিতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তাই হতাহতসহ সব ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে সরে এসে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ডিসি আরও বলেন, এ জেলায় প্রতিবছর পাহাড় ধসের মত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। জেলা প্রশাসন মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সাইনবোর্ড, ব্যানার লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি শহর জুড়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করা হচ্ছে।