পাহাড় দখলকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই যৌথ অভিযান : মেয়র

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বহুতল ভবন হচ্ছে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ মে, ২০২৩ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ভবিষ্যতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা অধিবাসীদের সরাতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ইউএনডিপিকে ১৮ গণ্ডা ভূমি দেয়া হয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা অধিবাসীদের জন্য বহুতল ভবন গড়তে। তবে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সংখ্যা চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যার নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্প নেয়া হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। আর বর্তমানে অবৈধভাবে পাহাড় দখল করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই চসিক ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনায় সম্মত হয়েছে। গতকাল ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে নগরের দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপবিভাগ ভবনের নিচতলায় খোলা কন্ট্রোল রুম থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মেয়র। এ সময় চসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তারা গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন।

উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমরা পাঁচ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেয়ার জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ, মোমবাতিসহ বিভিন্ন জরুরি দ্রব্য সংগ্রহে রেখেছি। ইতোমধ্যে লালখান বাজার, পূর্ব ষোলশহর ও দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে ত্রাণ পৌঁছে গেছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ৫৫টি মেডিকেল টিম জরুরি মুহূর্তে সেবা দিতে প্রস্তুত। দুর্যোগ আঘাত হানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রস্তুত আছে চসিকের বিদ্যুৎ উপবিভাগ। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনারা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান। আপনাদের জন্য খাবার, স্বাস্থ্যসেবা থেকে সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, শনিবার ভোর থেকে ৭টি যানবাহনে করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছি। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে অনেকের বাসায় তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, তছলিমা বেগম নুরজাহান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬