চন্দনাইশের দুর্গম পাহাড়ি জনপথ ধোপাছড়ি ইউনিয়নে জনতার হাতে আটক ২ পাহাড়ি সন্ত্রাসীসহ ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মেম্বারের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে গত শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের ক্যাম্পপাড়া এলাকা থেকে ২ জন ও পরে গতকাল শনিবার সকালে জিরোবুক ব্রিজ এলাকা থেকে ২ জনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। তবে অভিযুক্ত মেম্বার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ২২ মার্চ রাতে একটি ইঞ্জিন চালিত বোটে করে বেশ কয়েকজন পাহাড়ি সন্ত্রাসী আসার খবর পেয়ে ধোপাছড়ি ও পুরানগড় এলাকায় চারদিক থেকে মানুষ বের হয়। এ সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বোট নিয়ে বান্দরবানের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বোটটি নদীর চরে আটকে যায়। পরে তারা বোটটি ফেলে জিরোবুক ব্রিজ এলাকা দিয়ে পাহাড়ে উঠে যায়।
এদিকে স্থানীয় জনতা তাদের তাড়া করে রাতে ধোপাছড়ির ক্যাম্পপাড়া এলাকা থেকে ২ জন এবং গতকাল ভোরে অপর ২ জনকে আটক করে ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাম্মেল হকের জিম্মায় দেয়। কিন্তু তাদের পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মেম্বার মোজাম্মেল হক সন্ত্রাসীদের তার জিম্মায় দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, রাতে ২ জনকে আটকের পর তার অফিসের সামনে এনে গণপিটুনি দেয়। পরে তাদের রেখে সেহেরি খেতে চলে যাওয়ার পর আর কেউ আসেনি। তিনি কাউকে ছেড়ে দেননি। পরদিন সকাল ৯টার পর তাদের আত্মীয়স্বজন এসে তাদের নিয়ে যায়। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন আটকরা পাহাড়ি সন্ত্রাসী নয়। এদের মধ্যে ১ জন পশ্চিম পটিয়া শিকলবাহা এলাকার, ২ জন পাহাড়ি এবং ১ জন বড়ুয়া।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক করলেও পুলিশের কাছে দেয়নি। রাতে কয়েকজনকে স্থানীয় জনতা আটক করে মেম্বারের জিম্মায় দিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু তিনি কী কারণে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন বলতে পারি না।
ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলিম বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীসহ ৪ জনকে জনতা আটক করেছে বলে শুনেছি। তাদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের জিম্মায় দিয়েছে। সকালে জানতে পারি মেম্বার মোজাম্মেল সন্ত্রাসীদের পুলিশের হাতে না দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।