পাহাড়ি জীবনের বর্ণিল অধ্যায়

শাহরিয়ার আদনান শান্তনু | শুক্রবার , ১৩ জুন, ২০২৫ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

পাহাড়ি জীবন বরাবরই আকর্ষণ করে। সমতলের চাইতে ব্যতিক্রম বলেই। একজন পাহাড়ের মানুষ চাঁদ রায়। যাঁকে আমরা ডাকি কর্ণদা নামে। তিনি একজন বিদ্যান ব্যক্তি। চিন্তা ও চেতনায় আধুনিক মনস্ক। রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় তাঁর জন্ম। শৈশবকৈশোরতারুণ্যযৌবনপ্রঢ়ৌত্বকাল কেটেছে এই রাঙামাটিতেই। আবার একইসাথে বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। একই সাথে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত জনগণের জীবনচক্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁর জীবনের চলার পথে নানাবিধ অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও অর্জনকে মলাটবন্দি করেছেন একটি বই প্রকাশ করে। বইটির নাম: “জীবনকথা ও অন্যান্য রচনা।” এটি তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ। “জিংকানি কথা” নামে তাঁর লেখা প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৬ সালে।

জীবনকথা ও অন্যান্য রচনা”য় আছে তিনটি অধ্যায়। ক. স্মৃতিকথা (বাল্য ও কৈশোর, শিক্ষা ও কর্মজীবন, ১৯৭১ সালের দিনগুলো, পরম পূজনীয় সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের সান্নিধ্য ও উপদেশ)। খ. ভ্রমণ কাহিনি (পাকিস্তান ভ্রমণ, ভারত ভ্রমণ, লন্ডন ভ্রমণ, থাইল্যান্ড ভ্রমণ : ১৯৯৫, থাইল্যান্ড ভ্রমণ :২০১০, জুরাছড়িতে কয়েক ঘন্টা)। গ. প্রবন্ধ (চাকমা জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, চাকমা জাতির সংস্কৃতি : অতীত ও বর্তমান, চাকমা জাতির সাহিত্য ও সংস্কৃতি : অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, আমার দেখা যত নাটক, কাদাছড়ি গ্রামের গল্প, কয়েক দশকের রাঙামাটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপজাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্রমবিকাশ, উন্নয়নের চিন্তাভাবনা)

ভূমিকায় চাঁদ রায় লিখেছেন: “রাঙামাটি পার্বত্য জেলার এক চাকমা পরিবারে আমার জন্ম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আজ জীবনসায়াহ্নে এসেছি। পারিবারিক ও পেশাগত ব্যস্ততায়, কাজের ফাঁকেফাঁকে, নানা সময়ে লিখেছি স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনি, প্রবন্ধ ইত্যাদি। “চাঁদ রায় তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের (শাসনকাল: ১৯৫৩১৯৭১) বড় ছেলে। সুতরাং, তাঁর জীবন ও অভিজ্ঞতা নানাভাবে সমৃদ্ধ।

প্রথম পর্বের “স্মৃতিকথা” চাঁদ রায় তাঁর বাল্য ও কৈশোর, শিক্ষা ও কর্মজীবন, ১৯৭১ সালের দিনগুলো নিয়ে লিখেছেন। এতে আমাদের অনেক অজানা তথ্য জানার সুযোগ হয়। চাকমা রাজ পরিবারের সেই সময়ের কথাও জানা যায়।

এই পর্বের একটি অধ্যায়: পরম পূজনীয় সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের সান্নিধ্য ও উপদেশ। তিনি বনভান্তের সান্নিধ্য ও দর্শনলাভের সুযোগ পেয়েছিলেন। একদিন চাঁদ রায় তাঁর মনে আসা কিছু প্রশ্ন সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন শ্রদ্ধেয় বনভান্তের কাছে। করেওছিলেন। এবং উত্তরও পান। সেখান থেকে কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো:

আমার একটি এরকম প্রশ্ন ছিল যে, তথাগত গৌতম বুদ্ধ আদৌ ছিলেন কি না? শ্রদ্ধেয় বনভান্তে তখন বললেন, “রাজা ভুবন মোহন রায় চাকমাদের এক ঐতিহাসিক রাজা। তুমি কি বিশ্বাস করো তিনি ছিলেন?” উত্তরে বললাম, “হ্যাঁ ভান্তে, বিশ্বাস করি তিনি ঐতিহাসিক ব্যক্তি।”

তাহলে বুদ্ধ ছিলেনএ কথা অবিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই।”

আমার আরেকটি প্রশ্ন ছিল, “নেতা হতে হলে কী গুণাবলি থাকা বাঞ্চনীয়?”

নেতাকে হতে হবে ফলবান বৃক্ষের মতো। বৃক্ষ ফল দেয়, ছায়া দেয়, কিন্তু নিজে ফল ভোগ করতে পারে না। লোকে সে ফল ভোগ করে। ”(পৃ: ৫০)

শ্রদ্ধেয় বনভান্তের সাথে চাঁদ রায়ের আরও বেশ কয়েকবার দর্শন হয়েছে। আলাপচারিতা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা এই পর্বে বর্ণনা করেছেন।

গ্রন্থের দ্বিতীয় পর্বটি ভ্রমণ নিয়ে। বিভিন্ন সময়ে চাঁদ রায় পাকিস্তান, ভারত, লন্ডন, থাইল্যান্ড (দুইবার) ভ্রমণ করেছেন। এই ভ্রমণ কথায় তাঁর নানান অভিজ্ঞতা অর্জন বিধৃত করেছেন। চাঁদ রায়ের দ্বিতীয় বিদেশ সফর হয়েছিল ১৯৭৯ সালে, পাকিস্তানে। উনার বাবা প্রাক্তন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ত্রিদিব রায় তাঁকে চিঠি ও টেলিগ্রাম পাঠালেন পাকিস্তান যাওয়ার জন্য। ১৯৭৯ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে করাচির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তখন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরর মাস্টার্সের ছাত্র। বাবা ত্রিদিব রায় তখন পর্যটন বিভাগে মন্ত্রী পদ মর্যাদায় উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত। ইসলামাবাদে গিয়ে বাবা ত্রিদিব রায়ের দেখা হলো। কারণ, তিনি সেখানেই থাকতেন। যাহোক, বেশ কয়েক মাস পাকিস্তানে কাটালেন। “দীর্ঘ কয়েকমাস প্রবাস জীবন কাটিয়ে ঝুড়িতে সঞ্চয় করলাম কিছু অভিজ্ঞতা। পূজনীয় গুরুজন, স্নেহভাজন হিতাকাঙ্‌ক্ষীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ১৯৮০ সালের ১৪ মার্চ স্বদেশের উদ্দেশ্যে করাচি বিমানবন্দর থেকে বিমানে রওনা হলাম ঢাকা। শুরু হলো কর্মময় জীবনের সংগ্রাম।”(পৃ:৭৪)

চাঁদ রায়ের প্রথম বিদেশ সফর ছিল ১৯৭৮ সালে ভারতে। ১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে লন্ডন। ১৯৯৫ সালে থাইল্যান্ড। ২০১০ সালে দ্বিতীয় বারের মতো থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন তিনি। এসব ভ্রমণ অভিজ্ঞতা চাঁদ রায় সুলিখিত ভাবে বর্ণনা করেছেন। যা সুখপাঠ্য।

চাঁদ রায়ের “জীবনকথা ও অন্যান্য রচনা” বইয়ের উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হলো নানান প্রবন্ধ।

চাকমা জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” প্রবন্ধে লিখেছেন অনেক অজানা তথ্য। এই প্রবন্ধের শুরুতে চাঁদ রায় লিখেছেন: “কোন সুদূর স্মরণাতীত কালে চাকমা জাতি তাদের পিতৃপুরুষের মূল সগোষ্ঠী মঙ্গোলীয় নরবংশের শাখা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে তার দিনক্ষণ সংরক্ষণ করা একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।” (পৃ: ১৬৫)। বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্তের মাধ্যমে জানা যায়, ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে রাজা মানেক গিরির নেতৃত্বে দক্ষিণ চট্টগ্রামে বর্তমান কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকায় বসতি স্থাপন করে। ঐ এলাকায় চাকমাকূল, রাজাকূল নামে বিভিন্ন স্থানের নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চাঁদ রায় আরো লিখেছেন: “বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধের কারণে চাকমা জাতির প্রাচীন কোনও দলিল সংরক্ষিত থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালা প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্ম শাস্ত্র (আগরতারা) ইত্যাদি প্রমাণ করে যে, জাতি হিসেবে ক্ষুদ্র হলেও তাদের স্বতন্ত্র ভাষা, বর্ণমালা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রাচীন।”(পৃ: ১৬৬)

এখানে চমকপ্রদ তথ্য হলো, একসময়ে চাকমা রাজন্যবর্গ “খাঁ” বা “খান” উপাধিতে ভূষিত হতেন। এই বিষয়ে চাঁদ রায় লিখেছেন: “চাকমা রাজাদের “খান” উপাধির ইতিহাস খুঁজতে গেলে আমাদের সুদূর মধ্য এশিয়ার মঙ্গোলিয়ায় ফিরে যেতে হয়। মধ্য এশিয়ার মঙ্গোল জাতির মহাবীর চেঙ্গিস খান সম্ভবত ‘খান’ উপাধি সৃষ্টি করেন। পরবর্তীকালে উপমহাদেশের বাংলার বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে ‘খান’ উপাধি দেখতে পাই। যেমন: ঈশা খাঁন, মোগল আমলে সুবা বাংলার প্রশাসক শায়েস্তা খান। ১৬৬৬ খৃষ্টাব্দে মোগল সেনাপতি বুজুর্গ উমেদ খান আরাকানিদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম অধিকার করেন। তখন থেকে ১৭৬০ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মোগল শাসনাধীন এলাকা ছিল। যেহেতু চাকমা রাজারা মোগল প্রভাবাধীন ছিলেন, সেই সূত্রে বলা যায় তৎকালে চাকমা রাজন্যবর্গ সম্মান সূচক ‘খান’ উপাধি গ্রহণ করেন। ” (পৃ:১৭৬)

এখন প্রশ্ন জাগে কবে থেকে চাকমা রাজপরিবার “রায়” উপাধি গ্রহণ করেন। চাঁদ রায় লিখেছেন: চাকমা রাজা জব্বর খানের মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ধরম বক্স খান চাকমারাজ পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি ১৮৩২ খৃষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রথম সহধর্মিণী রানি কালিন্দী (১৮৪৪১৮৭৩) চাকমা সার্কেল চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ধরম বক্স খানের কোনো পুত্র সন্তান ছিল না। তাঁর তৃতীয় রানি হারি বিবির গর্ভে মেনকা নামে এক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মেনকা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে গোপীনাথ দেওয়ানের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। হরিশ্চন্দ্র তাঁদের প্রথম পুত্র সন্তান। হরিশ চন্দ্র বয়ঃপ্রাপ্ত হলে পরলোকগত রাজা ধরম বক্স খানের দৌহিত্র হিসেবে ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দে চাকমা রাজা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক মনোনীত হন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে রাঙ্গুনিয়া রাজানগর ত্যাগ করে রাঙামাটিতে প্রজাদের মধ্যে থাকতে বাধ্য করে। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “রায় বাহাদুর উপাধি প্রদান করেন।” সেই থেকে চাকমা রাজপরিবার “রায়” উপাধি করে আসছেন।

চাকমা জাতির সংস্কৃতি : অতীত ও বর্তমান” আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। চাঁদ রায় এই প্রবন্ধে লিখেছেন, “চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও কিছু পূজা পালন করে থাকেন। যাকে প্রকৃতিপূজা বলা যায়। যেমন: গাংপূজা, মাথা ধোয়া, মা লক্ষ্মীমাপূজা, আহ্ল পালনী, থান মানা, ভূত পূজা ইত্যাদি। তবে বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে এসব পার্বণ সমাজে প্রচলিত নেই বললেই চলে। এখন চাকমা সমাজে সবচেয়ে বড়ো সামাজিক অনুষ্ঠান হলো ‘বিজু’। প্রাচীন কাল থেকে এ উৎসব চলে আসছে। “( পৃ:১৮৫)

তিনি আরো লিখেছেন, “অতীতে চাকমাসমাজে উভাগীত (খড়াব ঝড়হম), রাধামনুধনপুদি পালা, চাদিগাংছড়া, চান্দবি বারোমাস, মেয়াবি বারোমাস ইত্যাদি প্রচলিত ছিল। সাধারণত এসব পালাগান করতেন পল্লীর চারণকবি, যাঁরা ‘ গেংখুলি’ নামে সুপরিচিত। ‘( পৃ:১৮৭)

চাকমাদের সাহিত্যচর্চা প্রসঙ্গে চাঁদ রায় লিখেছেন, “সাহিত্য বাদ দিয়ে সংস্কৃতির আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই চাকমাসমাজে সাহিত্য চর্চার বিষয়ে কিছু বলতেই হয়। প্রারম্ভিকভাবে দেখা যায় যে, চাকমা কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গল্পকার বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চা করতেন। দুএকজন কবি বাংলা অক্ষরে চাকমা ভাষায় কবিতা লিখেছেন। ১৯৩৬ সালে তৎকালীন চাকমা রাজা নলীনাক্ষ রায়ের সহধর্মিণী রানি বিনীতা রায়ের (১৯০৭১৯৯০) উদ্যোগে ও পরিচালনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার প্রথম সাহিত্য পত্রিকা ‘গৈরিকা’ প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকার নামকরণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।…. পরবর্তীকালে ‘চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত ‘র লেখক বিরাজ মোহন দেওয়ানের (১৯০১১৯৭৬) পরিচালনায় ও সম্পাদনায় ‘ পার্বত্য বাণী’ নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।”

চাকমা জাতির সাহিত্য ও সংস্কৃতি : অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ” শীর্ষক প্রবন্ধটিতে চাঁদ রায় আরও বিশদ আলোচনা করেছেন। প্রাচীন সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, সংগীত ও নৃত্যকলাইত্যাদি পর্বে চাকমা সমাজের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিষয়ে আলোকপাত করেন।

চাঁদ রায় ব্যক্তিজীবনে শিক্ষকতা করেছেন। পরবর্তীতে উন্নয়নকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার সাথে উন্নয়নকর্মী হিসেবে সখ্যতা গড়ে উঠে। যার ফলে, বিভিন্ন সময়ে এই গ্রন্থের অনেক প্রবন্ধ লেখার সময়ে পারস্পরিক আলোচনা হতো। চাঁদ রায় আমাদের সকলের মাঝে “কর্ণদা” নামেই পরিচিত। কর্ণদা লিখিত “জীবনকথা ও অন্যান্য রচনা” চাকমা জনগোষ্ঠীর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বই। তাই কর্ণদার বইটি নতুনত্ব এনেছে সমগ্র চাকমা জনগোষ্ঠীর কাছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাদঘর
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলার অভিযোগ