পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন না রাখার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমতির পরদিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ‘পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিলকরণ’ শিরোনামে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট দিতে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ১. নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীগণকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিরেকে পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে। ২. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীগণকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিরেকে পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে। ৩. পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সাথে চাহিত মৌলিক তথ্যের (নিজ নাম, পিতা–মাতার নাম, জন্মতারিখ, জন্ম স্থান) পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে। খবর বিডিনিউজের।
অতিরিক্ত সচিব গাজী গোলাম তৌসিফের সই করা পরিপত্রে জারি করা আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন না রাখার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। প্রধান উপদেষ্টা ওইদিনই তা অনুমোদন করেন। পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই করার পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ের শুরু থেকে নানাভাবে আলোচনায় ছিল। এরপর পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় গতি আসে মূলত বিষয়টি নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার পর।