মায়ের অপারেশন করানোর কথা বলে উখিয়ার ক্যাম্প থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আসা এক রোহিঙ্গা কিশোরী বাংলাদেশি পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়ে। গতকাল সকালে নগরীর মনসুরাবাদস্থ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে। তাকে ডবলমুরিং থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, গতকাল সকালে ফাতেমা ইয়াসমিন তালুকদার নামের এক কিশোরী পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দিতে আসে। আবেদনপত্রে তার বাবার নাম মইন উদ্দিন আহমেদ তালুকদার মাতার নাম সাবিনা ইয়াসমিন, তালুকদার বাড়ি, গ্রাম- সোনাগাজী, ওয়ার্ড নম্বর ৬, ডাকঘর কাটিরহাট থানা হাটহাজারী ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। পাসপোর্টের আবেদনপত্রের সাথে নাগরিকত্ব সনদ, জন্ম সনদ থেকে শুরু করে সব কাগজপত্র রয়েছে। ছবিসহ আবেদনপত্রটি সত্যায়িতও করা রয়েছে। সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ আবেদনপত্রটি নিয়ে বাঙালি চেহারার ওই কিশোরী মনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের নিচতলার ৩ নম্বর কাউন্টারে জমা দিতে যায়। কিন্তু আবেদনকারীর কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাকে ৪ নম্বর কাউন্টারে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাছাই করতে পাঠায়। সেখানে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের এসএএস সিস্টেমের মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করে দেখা যায় ওই কিশোরী মিয়ানমারের নাগরিক। আনুমানিক ১৩ বছর বয়সী কিশোরী জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করে। সে জানায়, তার মায়ের অপারেশনের কথা বলে সে উখিয়ার ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আসে। এখানে এসে সে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করে। পাসপোর্ট ফেলে সে বিদেশে চলে যেতে পারতো বলেও জানায়। বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদ রোহিঙ্গা কিশোরী আটকের কথা স্বীকার করে বলেছেন, তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।