১৯৮০’র দশক থেকে দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারতীয় উপমহাদেশের তিনটি দেশে নিউ লিবারেল রাজনৈতিক অর্থনীতি অনুসৃত হচ্ছে যার মূল প্রতিপাদ্য হল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু ধনিক গোষ্ঠীর সরকারী সম্পত্তির বিশেষ করে ব্যাংকের টাকা অবাধ লুটপাট, সরকারী ক্ষমতা ক্রমে কুক্ষিগত করা ও নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে জবাবদিহিতা বিহীন অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করা যাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ঐ লুটেরা ধনীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই অনুষঙ্গ হিসাবে মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করে রাখতে ধর্মের পুরনো বর্ম ব্যবহার জরুরী হয়ে পড়ে যাতে লুটপাটে মানুষের ক্ষোভ লুটেরা গোষ্ঠীর প্রতি না গিয়ে সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ ঘৃণায় রূপ নেয়। ফলে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা এসব দেশে সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধতার ক্রমে সামাজিকীকরণের ফলে অসহায় এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশংকায় দিন যাপনের পাপ ক্ষয় করে থাকে।এই রাজনৈতিক অর্থনীতি ও সাস্প্রদায়িক মনস্তত্ত্ব তৈরির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হল কথিত উদারবাদী পাশ্চাত্য দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। একটি সমাজে উদারবাদের মূল উৎস মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বিজ্ঞান মনস্কতা, ইহজাগতিকতা বা সেকুলার সামাজিক রাজনৈতিক চর্চা, গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা এসব কিছুই নিউ লিবারেল অর্থনীতির জবরদস্তি বা কথিত মুক্তবাজার অর্থনীতির মৌলিক প্রত্যয়ের বিরোধী। এই রাজনৈতিক অর্থনীতির উত্তর ঔপনিবেশিক বৈশ্বিক রাজনীতির বিষময় ফল। এই ধারা তীব্রতর হয় সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ের সৃষ্ট একমেরু বিশ্বে। বস্তুত দ্বিতীয় বিশ্বযোদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়া, ভিয়েতনামে, সামারিক হস্তক্ষেপ করে জান–মালের বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ চালায়,’৭১সালে পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে গণহত্যায় মদদ দেয়া, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক তিনটিদেশ মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া, চিলির আলেন্দেকে হত্যাকরা সহ সমস্ত অমানবিক ঘটনার প্রধান রূপকার। যুক্তরাষ্ট্রের মানবতাবিরোধী অপরাধের ও নির্যাতনের এইরকম অনেক উদাহরণ দেয়া যায় যা নিজ দেশে “উদার মানবতাবাদী” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে করে চলেছে। সপ্তাদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দির কথা বাদ দিলেও এক হিসাবে দেখা যায় ১৮২০ থেকে ১৯২০ এই ১০০ বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ৬ কোটিরও বেশি শ্বেতাঙ্গ উত্তর আমেরিকাতে পাড়ি জমায়। এরাই ধ্বংস করেছে মায়া ও আজটেক সভ্যতা গণহত্যা চালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে সব আদিবাসিদের। “তারাই আজ বলছে America for Americans। বিগত ২০০ বছর ধরে চালু রেখেছে এক দ্বিদলীয় শাসন ব্যবস্থা। আর্থিক ও অভ্যন্তরীণ বা বিদেশ নীতিতে এই দুই দলের শাসন পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনার পার্থক্য খুবই কম। অতিকায় সব মার্কিন কর্পোরেট ক্যাপিটেলের অতি বান্ধব এই দুই দলকে পরস্পর বিরোধী না বলে বলা যায় পরস্পর পরিপূরক। বস্তুত কোন আদর্শগত বিরোধীদল বিহীন এক সামাজিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সেখানে বিরাজমান। রিপাবলিকান আমলে যেমন নিক্সন সরকার বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য দায়ী তেমনি খ্যাতনামা ডেকোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট কেনেডি ভিয়েতনাম যুদ্ধের জন্য দায়ী। বর্তমানে বিশেষ করে উগ্র শ্বেতাঙ্গঁবাদের পুনরুখান, সেই কথিত উন্নত ব্যবস্থার অভ্যন্তরে চিড় ধরিয়েছে। গত নির্বাচনে ফলাফল না মেনে ট্রাম্পের নির্দেশে ক্যাপিটল হিল বা মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে তাঁর সমর্থকদের সশস্ত্র হামলা ও হত্যার নজিরবিহীন ঘটনাকে কর্পোরেট মিডিয়ার কল্যাণে লঘু করে দেখানো হয়েছে অথচ তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বা অন্যত্র ঘটলে সপ্তাহখানেক ধরে পাশ্চাত্য মিডিয়ার লিড নিউজ হতো। বর্নবাদের উত্থা, তীব্র ধন বৈষম্য, অবাধ বন্দুকধারীদের নিরন্তর বর্ণবাদী হামলা কোন সমাজকে উদারবাদের দিকে নেয় না বরং ক্রমে পেছনে টানে। ট্রাম্পের মতো দুশ্চরিত্র রাজনীতিবিদের জনপ্রিয়তাও পুনরায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারা এর প্রমাণ। পৃথিবীর দেশে দেশে অব্যাহত নৃশাংসতা চালিয়ে, কর্পোরেট ক্যাপিটেলের শোষণের আষ্টে–পৃষ্ঠে মানুষকে বন্দী করে, আমাদের দেশে জামাতও ইসকনের মত ধর্মান্ধ রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয় ও প্রশ্রয় দাতা হয়ে স্বদেশে কথিত উদারবাদিতা, ইহজাগতিকতার চর্চা নিঃসন্দেহে অসততা ও হিপোক্র্যাসি। শুধু অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ, স্বল্প জন সংখ্যা সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিদেশী মেধাস্বত্বের মালিকানায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ ঘটিয়ে একটা হিপোক্র্যাট ও অসৎ সমাজ চলতে পারেনা বেশিদূর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বশক্তি বৃটিশরা টিকতে পারেনি। সভ্যতা ও মানবতা বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের গত ১০০ বছরে ইতিহাস বিচার করে আমি বলে থাকি “The USA is a highly developed uncivilized soceity”
আধুনিকতার সূচনা পর্বে অর্থাৎ ইউরোপীয় রেনেসাঁর মানবতা কেন্দ্রিক ভাবধারার প্রভাবে, বিজ্ঞানের নবতর আবিষ্কার ও ভাবনার পটভূমিতে যে সামাজিক আলোকায়ন বা এনলাইটেণ্টমেন্ট শুরু হয় তা যেমন সমাজকে আলোকিত করে তেমনি সামন্তবাদী নিপীড়ন ও ভাবাদর্শ থেকে পুঁজিতন্ত্রের বিকাশে শক্তি যোগায়। ভূমিদাস অপেক্ষাকৃত স্বাধীন শ্রমদাসে পরিণত হয়। মজুরি দাসত্বের এই ব্যক্তিস্বাধীনতা রেনেসাঁর চেতনার সাথে সাযুজ্যপূর্ণ বটে কিন্তু তাতে মানুষ আটকে যায় পুঁজির নবতর সুকঠিন শোষনের জালে। সামন্তবাদী শাসকদের শাসনের হাতিয়ার খৃষ্টীয় সৃষ্টিতত্ত্ব ও চার্চের প্রভাব নব্য পুঁজির মালিকদের আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সীমিত হয়ে পড়ে এবং অবশেষে রক্তাক্ত সংঘাতের মাধ্যমে অর্থোডক্স চার্চের হাত থেকে রাষ্ট্র মুক্ত হয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতার দ্বার খুলে যায়। একাট ইউরোপীয় রেনেসাঁর মর্মবস্তু যার প্রভাব আমেরিকায় পড়ে। উদারবাদের চর্চা, ইহজাগতিকতার প্রভাব বাড়তে থাকে পরিবর্তনের অনুষঙ্গঁ হিসাবে। কিন্তু পুঁজিবাদের এই বিশ্বজনীন আপাত প্রগতিশীলতা একটা পর্বে এসে মুনাফালোভী পুঁজির বিস্তারের কারণে আর টেকেনি। বাজারের প্রয়োজনে পুঁজর মালিকরা প্রাচ্যকে নির্মমভাবে পদানত করে দখল করে ও ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় পুরো দুনিয়া। পুঁজিবাদের হত্যা ধ্বংস, বিভীষিকায় মানবতা কেঁপে কেঁপে উঠে। খসে পড়ে পাশ্চাত্য উদারবাদের কথিত মহিমা। ঠিক এই সত্যটুকু রবীন্দ্রনাথ “সভ্যতার সংকটে” উল্লেখ করেছেন অপূর্ব শব্দ বিন্যাসের চমৎকার শৈলীতে। নৈবেদ্য কাব্যে লিখছেন “স্বার্থে স্বার্থে বেধেঁছে সংঘাত/লোভে লোভে ঘটেছে সংগ্রাম, প্রলয় মহ্নন ক্ষোভে/ভদ্র বেশী বর্বরতা উঠিয়াছে জাগি…। ক্রমে ষ্ফীত হতে থাকা পুঁজিবাদের সাম্রাজ্যবাদীস্তরে রূপান্তর ঘটে যার উৎকট রূপ বিংশ শতাব্দীতে ফ্যাসিবাদে পরিণত হয়ে সমস্ত মানবিক সুকুমার বৃত্তিকে ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় এবং দু’দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত করে প্রায় ৮ কোটি মানুষের করুণ মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠে পুঁজিবাদ।
আমাদের দেশের কথা যদি বলতে হয় তা হলে বলতে হবে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি ভারতবর্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা জেনেও মুসলিম লীগের অন্যায্য দাবী মেনে বা ইচ্ছাকরে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে একটি দেশকে বিভক্ত করে দিয়ে যায় । দক্ষিণএশিয়ার অগ্রগতিতে যে বিভক্তি এখনো একটি প্রধান বাধা হিসাবে বিরাজমান। পরে যুক্তরাষ্ট্র রঙ্গঁমঞ্চে আবির্ভূত হয়ে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটতে দেয়নি। নিজ স্বার্থে সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করে যাদের ট্রাম্পকার্ড ছিল নির্মম সাম্প্রদায়িকতা, যার প্রকোপ থেকে উপমহাদেশ আজও মুক্ত হয়নি বরং তা গভীর হচ্ছে সম্প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অপরিমেয় ত্যাগে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে ’৭৫ এর পর থেকে সেই ধারা পুনরায় চালু হয় মার্কিন চক্রান্তে ও আমাদের নেতৃত্বের ব্যর্থতায়। শেষ পর্যন্ত ভারতও সেই মার্কিন চক্রান্তে ক্রোনি ক্যাপিটেলিজমের খপ্পরে পড়ে যার ফলে সাম্প্রাদায়িক কিছু দুর্বৃত্ত গণতান্ত্রিক ভারতের ক্ষমতায় উপবিষ্ট হয়ে আছে। স্থান নেই জালিওয়ানওয়ালাবাগের নিষ্ঠুর গণহত্যার পরে স্যার উপাধি ত্যাগ করে বৃটিশ রাজের কাছে পাঠানো চিঠিতে সত্যের বর্বরতার কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ তীব্র ভাষায় লিখছেন “The disproportionate severity of the punishments inflicted upon the unfortunate people and methods of carrying them out, we are convineed, are without parallel in the history of civilised governments barring some conspicuous excepetions recent and remote” কথিত ইঙ্গ মার্কিন উদারবাদ ও সভ্যতাকে লক্ষ্য করে শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ বলছেন “সভ্যের বর্বর লোভ নগ্ন করল আপন নির্লজ অমানুষতা”। এ দেশে বৃটিশ শাসনের নির্মম অমানুষতা, ’৭১মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি মদদে নজিরবিহীন গণহত্যা ভুলে গিয়ে যারা মার্কিন তথা পাশ্চাত্য সভ্যতা, এর নির্বিকার সমাজ মানস, কথিত উদারবাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাদের নিয়ে কিছু বলতে চাইনা।
আমাদের দেশে এবং উপমহাদেশে প্রথমেই উল্লিখিত আমেরিকার চাপিয়ে দেয়া অগণতান্ত্রিক দুঃশাসনের ফলে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, সামাজিক বিশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতিকে পাশ্চাত্য উদারবাদের নিরিখে অপরিবর্তনীয় মনে করে কেউ, কেউ সে দেশ ঘুরে এসে বা ওখানে বাস করে সামাজিক শৃঙ্খলায় বিমোহিত হয়ে আমাদের হিতোপদেশ দিতে গিয়ে ভুলে যান সে দেশের শ্বেতাঙ্গ শাসকদের স্বার্থে সামান্য আঘাত লাগলেই কি রকম হিংস্র তারা হয়ে উঠতে পারে দেশে বিদেশে। ’৭১এর খুনিরা ক্ষমতার বানেও তাদের কোনো আপত্তি নেই বরং খুশি। মার্কিন শাসক গোষ্ঠীর এই ধদারবাদকি মড়ারেট বলে ’৭১ এর খুনিরা এদেশে ক্ষমতায় বসলেও তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই বরং মনে হয় তারা। জামাতকে তারা মডারেট ইসলামী দল বলে প্রকাশ্যে প্রশংসা করে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘উদারবাদিতা’ যেকোন কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কি মানতে পারে? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডকে বৈষম্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রধান প্রতিবন্ধকতা এবং আজকের এই সার্বিক অধ্যগতির কারণ হিসাবে যাঁরা মনে করেন তারা সেই হত্যাকান্ডের মূল ইন্ধনদাতা ও হত্যাকারীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া আমেরিকার চাকচিক্যময় বহিরঙ্গঁ ও আপাত উদারবাদের অনৈতিক অনুজ্জ্বল আলোয় একটি বার আত্মানুসন্ধান করে দেখবেন না যে ’৭১ বাংলাদেশকে তার প্রকৃত চলার পথ থেকে যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতদূরে ঠেলে দিয়েছে। পাকিস্তানকে গত ৭৫ বছর ধরে মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্টের চাপে, গণতন্ত্রহীন অবস্থায় একটি জঙ্গি ও ব্যর্থ রাষ্টে পরিণত করেছে। সম্প্রতি মোদিকে দিয়ে গান্ধী নেহেরুর জোটনিরপেক্ষ ভারতকে প্যাসিফিক যুদ্ধ জোটের সদস্য করে ক্রমে পাকিস্তানের মত একটি থিওক্র্যাটিক বা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র তৈরির পশ্চাদপদতার পিচ্ছিল পথে নিয়ে যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায় না শতাব্দী ধরে তা মৌলিকভাবে অপরিবর্তিত থাকে। মুনাফার প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে কৌশল পরিবর্তন করে মানবিকতার মুখোশ পড়ে আর তাতেই আমরা অতি উৎসাহিত হয়ে পড়ি। তাৎক্ষণিকতার বিবেচনায় মৌলিক ভাবনা পাল্টানো যায় না। পুঁজিবাদের অসম বিকাশের অনিবার্য প্রক্রিয়ায় একে এর প্রাথমিক পর্যায়ের উদারবাদ ও ইহজাগতিকতার প্রোজ্জ্বল আলোয় নয় দেখতে হবে তার নয়া ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বর্তমানের অনালোকিত বদ্ধ গলির ম্লান আলোর অপচ্ছয়ায়। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো গাজার নির্মম শিশু ও নারী হত্যা। মার্কিন প্রবাসীর চোখে বা সদ্যঘুরে আসা কোন মোহ অঞ্জন মাখা দৃষ্টিতে নয়। পর্যটকের চোখে নয়।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, শিক্ষাবিদ।