হঠাৎ করেই বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হলেন সাকিব এবং তামিম। এতোদিন বিষয়টি সবার অজানা থাকলেও বিসিবি সভাপতি সেটাকে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন। তখন থেকেই এই দুই তারকা মিডিয়াসহ সবার আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে। আগের দিন তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিনি কোন গ্রুপিং দেখেননি দলে।
তবে গতকাল সাকিব যখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সরাসরি অনুশীলনে যোগ দেন তখন সংবাদ মাধ্যমের উৎসুক দৃষ্টি যেন তাক করে রেখেছিল দুজনকে। তবে সেখানে ধরা পড়েছে বেশ অসঙ্গতি। সাকিব মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢুকে মিরাজ, মাহমুদ উল্লাহদের নিয়ে বেশ রসিকতা করলেন। তারপর কথা বললেন, কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের সাথে। এরপর গেলে নেটে ব্যাটিং করতে।
গতকাল সাকিব এবং তামিম পাশাপাশি নেটেই ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন। মিরপুর ইনডোরের খোলা আকাশের নিচে ন্যাচারাল টার্ফে নেট প্র্যাকটিস করেন বাংলাদেশ দলের এই দুই তারকা। কিন্তু তাদের কেউ কথা বলতে দেখেননি। এক আর দুই নম্বর উইকেটে প্র্যাকটিস করেছেন সাকিব আর তামিম। মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিক করেন তিন আর চার নম্বর উইকেটে। আধা ঘণ্টার ওপর ব্যাটিং করেছেন সাকিব এবং তামিম। এরপর তামিম বিশ্রামে গেলেও সাকিব সরাসরি চলে যান চার নম্বর উইকেটে। সেখানে আবার প্র্যাকটিস করেন সাকিব। অনুশীলন শেষে তামিম যখন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলেন। তখন সাকিব সেদিকে না গিয়ে সরাসরি চলে যান পরের নেটে। অথচ আগে অনেকবার দেখা গেছে দুই বন্ধু মিলে কোচ কিংবা কোচিং স্টাফের সাথে কথা বলেছেন। পরামর্শ করেছেন। কিন্তু গতকাল যেন সে চিরাচরিত দৃশ্য অনুপস্থিত। দু জনের আচরণে যেন শত্রুতার ভাবটা স্পষ্ট হয়ে উঠে। যদিও তামিম আগের দিন বলেছেন তাদের মধ্যে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তবে সেটা কেবলই ব্যক্তিগত। সেটা মাঠের কোন বিষয় নয়। আর মাঠে তার কোন প্রভাবও পড়বে না।
কিন্তু তামিম যতই মুখে বলুকনা কেন দুজনের সম্পর্ক মাঠে প্রভাব পড়বেনা কিংবা ড্রেসিং রুন অশান্ত হবে না। বাস্তবে সেটা কতটা দেখা যায় সেটাও বিবেচনায় রাখতে হয়। কারণ মাঠে সাকিবকে বোলিং এর জন্য ডাকতে হবে তামিমের। দুজনের মধ্যে শলা পরামর্শ করতে হবে। সেটা কতটা সহজ হবে অধিনায়ক তামিমের জন্য সেটাও এখন দেখার বিষয়। যদিও তামিম বলেছেন, তারা পেশাদার ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে পেশাদারিত্বের বাইরে কিছু নেই। মাঠে তারা শতভাগ পেশাদার। কিন্তু মনের কোনায় জেগে উঠা ক্ষতটা কতটা জ্বালা মুক্ত রাখতে পারবেন ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে সেটাই এখন দেখার বিষয়।