ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকার কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৮ দিনের জন্য শিথিল করেছে। কঠোর লকডাউন শিথিল করার ঘোষণায় ঝিমিয়ে থাকা নগরী হঠাৎ স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এক দিনের মধ্যেই পাল্টে যেতে থাকে নগরীর দৃশ্যপট। গতকাল সকাল থেকেই নগরীর ফাঁকা রাজপথগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠছে।
দুপুর ১২টায় সরেজমিনে আগ্রাবাদ বাদামতল, চৌমুহনী ও দেওয়ানহাট এলাকায় দেখা যায় স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট লেগে আছে। আগ্রাবাদ-দেওয়ানহাটের মোড়ের মতো মানুষের ব্যাপক ভিড় ছিল জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট, নিউ মার্কেট মোড়, ওয়াসার মোড়, চকবাজার ও টেরীবাজার মোড়েও। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকান খোলার দৃশ্যও দেখা গেছে।
আগ্রাবাদ-বাদামতল, চৌমুহনী ও দেওয়ানহাট মোড়ে রিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, গার্মেন্টসকর্মীদের বাস এবং সিএনজিতে ভিড় ছিল। অনেক বাসের সামনে গার্মেন্টসকর্মী পরিবহন ব্যানার ঝুলিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। প্রাইভেট সিএনজিও দেখা গেছে চলাচল করতে।
বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণায় রয়েছে আগামীকাল ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সকল অফিস-আদালত-শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। চলবে সকল গণপরিবহন (বাস-ট্রেন)। খোলা থাকবে দোকান-পাট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, মার্কেট, শপিং মল। তবে ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর লকডাউন।
এদিকে গত ১২ জুলাই থেকে নগরীতে বসেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬টি পশুর বাজার। পশুর হাটের কারণে নগরীতে মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়েছে।
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে লালদিঘির পাড় পর্যন্ত ফুটপাতে ভাসমান হকাররা নানা রকম পণ্য বিক্রির জন্য বসেছে। নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় ছিল সীমাহীন। আর প্রতিদিনের মতো নগরীর অলি-গলিগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তাররোধে জেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে গতকাল দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এ সময় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় বিভিন্ন দোকান, রেস্টুরেন্ট ও মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মামলার পাশাপাশি জরিমানাও করেছেন।
এদিকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে তা সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।