পালিয়ে বিয়ে, তিনমাসের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা

লামা প্রতিনিধি | রবিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সুখের সংসার করার আশায় প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়েন লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের কন্যা মর্জিনা আক্তার (২০)। পালিয়ে গিয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী কুড়ালিয়ারটেক এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র মো. নাঈম হোসেনকে (২৫)। এর তিন মাস না যেতেই বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন মর্জিনা। লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমতাজ উদ্দিন আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এদিকে কঙবাজার হাসপাতালে স্ত্রীকে রেখে স্বামী নাঈম হোসেন পালিয়ে যান বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, দেড়লাখ টাকা নগদ অথবা ফুল ফার্নিচারের দাবিতে মারধর করে স্বামী বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে মর্জিনাকে।
নিহতের বড় বোন জেসমিন আক্তার জানান, তিন মাস আগে আমার বোন পালিয়ে গিয়ে তার পছন্দের ছেলে নাঈম হোসেনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা প্রথমে নাঈমের আত্মীয়ের বাড়িতে এবং পরবর্তীতে নিজের বাড়িতে উঠে। এরপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের কাছে যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা অথবা ফুল ফার্নিচারের জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০ দিন আগে ঘরে এলে সে এসব বিষয় আমাদের জানায়। গত শুক্রবার দুপুরে আমার বোনকে বিষ খাওয়া অবস্থায় তার স্বামী ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কঙবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে সন্ধ্যায় মর্জিনার মৃত্যু হয়। এর আগে মর্জিনাকে হাসপাতালে রেখে তার স্বামী পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, মর্জিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং হাতে কামড়ের দাগ ছিল। তাকে মারধর করার পর বিষ খাইয়ে দেয়া হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।

নিহতের মা আজিদা বেগম জানান, যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তার স্বামী, শাশুড়ী এবং ননদ প্রায় সময় মারধর করতো। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তার উপর অত্যাচার শুরু হয়। তিন দিন আগেও মর্জিনা তার স্বামীর জন্য আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল।
লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই গ্রুপের মারামারিতে ইউনিট সম্মেলন পণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধসেই শিশুটি মারা গেছে