পারিবারিক শিক্ষা

রুবি নন্দী | সোমবার , ৬ জুন, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

প্রায় দুবছর পর পুনরায় স্কুল শুরু হয়েছে। বিশাল ক্যাম্পাসে মাঠ ভর্তি ছোট, বড় ছাত্ররা যখন সাদা ইউনিফর্মে ক্লাস অনুসারে এসেম্বলির লাইনে দাঁড়ায়, দেখেই মনে হয় অনেকগুলো সাদা ফুল। সকালের সুন্দর এই দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। কারণ এমন একটা দৃশ্য দেখার জন্য আমাদের দু’বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষকের নেতৃত্বে ছাত্ররা সুশৃঙ্খল ভাবে ক্লাসে প্রবেশ করে। কিন্তু ক্লাসে প্রতিনিয়ত পাঠ দানের সময় লক্ষ্য করা যায় ছাত্ররা ভীষণ অমনোযোগী।

বিন্দুমাত্র পাঠে মনোযোগ নেই। যার কারণ হয়তো, দীর্ঘদিন বাসায় থাকা, অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে গিয়ে, স্মার্ট ফোনে আসক্তি এগুলো হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেদনাদায়ক হলো, সামান্য কারণে ছাত্ররা নিজেরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া,মারামারি করছে। বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব একেবারে নেই বললেই চলে।একজন অন্যজন সম্পর্কে এমন সব বাজে মন্তব্য করছে যেটা এই বয়সে তাদের বলার কথা নয়।এক্ষেত্রে পরিবারের বড় সদস্যদের খেয়াল রাখা উচিত ছোটরা সর্বদা অনুকরণ প্রিয়।

উপরের ক্লাসের অবস্থা আরও খারাপ। বর্তমানে আমরা একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই সময় কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে বৈকি।তাই ছোট বেলা থেকে যদি আমরা আমাদের সন্তানদের কে পারিবারিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারি, তাহলে কৈশোরে এসে ওরা বিগড়ে যেতে পারে। কারণ একজন ছাত্র স্কুলে যতটা সময় থাকে, তার চেয়ে বেশি সময় থাকে বাসায়। তাই শিক্ষক, অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের আগামী প্রজন্ম ভেতরে, বাহিরে আলোকিত হয়ে উঠবে সেই প্রত্যাশা করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোশাল মিডিয়া আসক্তি, এক ভয়ংকর নেশা
পরবর্তী নিবন্ধখতিব ইমাম মুয়াজ্জিনদের আর্থিক দৈন্য ঘুচাতে হবে