ঘরে যখন ছেলের জন্য কোনো মেয়েকে নতুন বৌ হিসেবে আনা হয় তখন আমরা বেশ কিছু পরিবারে দেখি এই নতুন বৌকে নিয়ে অদ্ভুত রকম মন্তব্য করতে। যে মেয়েটি বিয়ের আগে মা বাবার আদরের মেয়ে হিসেবে ছিল, লেখাপড়ার জন্য যে মেয়েটি রান্না করার সময় পায়নি সে মেয়েটি যখন শ্বশুর বাড়িতে যায় তখন তাকে আদর, ভালবাসা আর মমতা দিয়ে বিভিন্ন কাজ শিখিয়ে দেওয়া শ্বশুর বাড়ির লোকদের দায়িত্ব। কিন্তু অনেক সময় আমরা সেটি করিনা। নতুন বৌ ঘরে আসার পর তার দোষত্রুটি লিপিবদ্ধ করা শ্বশুরঘরের লোকদের একটি বড় কাজ হয়ে যায়। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে নতুন বৌকে কথায় কথায় তার মা বাবার নাম ধরে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করা হয়। স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর, দেবর আর ননদেরা প্রায় বলেন আমাদের নতুন বৌ বাপের বাড়ি থেকে কিছু শিখে আসেনি। আর যদি স্বামীর মা বাবার টাকা পয়সা বেশি থাকে তাহলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখি ছেলের বৌয়ের উপর নির্যাতনের পরিমাণ বেশি থাকে। কাউকে ভালবাসা না দিলে আমরা তার থেকে ভালবাসার আশা করতে পারিনা। কিছু ক্ষেত্রে আবার ভিন্ন অবস্থা দেখি যেমন অনেক নতুন বৌ স্বামীর পরিবারে আসার সাথে সাথে কাউকে মেনে নিতে পারেননা। স্বামীকে উদ্বুদ্ধ করে যেন তাদের দুজনের জন্য নতুন একটি বাসা নেওয়া হয়। কারণ তার সাথে শ্বশুর বাড়ির কারো সাথে মিল হচ্ছেনা। আসলে আমাদের সবাইকে সবার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিবারের একে অপরের সাথে ভাল ব্যবহার, আদর, স্নেহ মমতার মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটি পরিবার সৃষ্টি করা যায়। একটি সুন্দর সংসার রচনা করা যায়। একটি সুন্দর পরিবার একটি সুন্দর সংসারের জন্য সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্নেহ, মমতার সংমিশ্রণ ঘটাতে হবে।বহুদিন ধরেই একটা প্রবাদ শুনে আসছি যেটা অনেকেই জানেন তারপরও আবার স্মরণ করছি, ” সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে, গুণবান স্বামী থাকে যদি তাহার সনে। একটি সংসারের শ্রীবৃদ্ধির জন্য একজন স্ত্রীর ভূমিকা যেমন আছে তেমন স্বামীর ও আছে। একটি সংসারে স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে সেই সংসারের সন্তানগুলো শ্রদ্ধাবান হয়। সংসারে শ্রদ্ধাবান ছেলে মেয়ে না আসলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা যাবে। বিশৃঙ্খল সমাজে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হবে। মানুষের মধ্যে হানাহানি সৃষ্টি হবে। কেউ কাউকে শ্রদ্ধা করবেনা। তাই আসুন আমরা সুন্দর একটি পরিবার সৃষ্টি করি।