শিল্পকলার জগতে পাবলো পিকাসো অবিস্মরণীয় নাম। শৈশব থেকেই তাঁর মধ্যে ছবি আঁকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। পেনসিল কিংবা কাঠকয়লা পেলে কগিজ অথবা মেঝেতেই আঁকিবুকি করতেন। ছাত্রাবস্থায় তাঁর মধ্যে শিল্প চেতনার বিকাশ ঘটে। তাঁর অসাধারণ প্রতিভার স্পর্শে সমৃদ্ধ হয়েছে চারুকলার বিভিন্ন অঙ্গন।
পিকাসোর জন্ম স্পেনে ১৮৮১ সালের ২৫শে অক্টোবর। বাবা ছিলেন চিত্রকর। বার্সেলোনার চারুকলা বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন তিনি। আঁকাআঁকিতে বাবার কাছেই পিকাসোর হাতেখড়ি শৈশবে। ১৯ বছর বয়সে একটি ছবি এঁকে পিকাসো শিল্পবোদ্ধাদের নজর কাড়েন। ১৯০৪ সালে তিনি চলে যান শিল্প সাধনার চারণভূমি, ছবির দেশ কবিতার দেশ ফ্রান্সে। এরপর প্যারিসই হয়ে ওঠে তাঁর শিল্পচর্চার প্রধান ক্ষেত্র। প্যারিসে শিল্পী জীবনের শুরুর দিকে তাঁকে নিয়তই দারিদ্র্য আর ক্ষুধার সাথে সংগ্রাম করতে হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই তিনি নিরন্তর সাধনা করে গেছেন, ধীরে ধীরে পেয়েছেন খ্যাতি, যশ, অর্থ-বিত্ত। পিকাসো বিশ্ববিখ্যাত ছবি ‘গুয়ের্নিকা’ এঁকেছিলেন স্পেনের গৃহযুদ্ধের স্মরণে।
তাঁর আঁকা অন্যান্য বিখ্যাত শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ব্লু রুম’, ‘সেল্ফ্ পোট্রেট’, ‘থ্রি মিউজিশিয়ান্স্’, ‘পালামো’, ‘মডেল অ্যান্ড ফিশবৌল’, ‘গিটার’, ‘থ্রি ডান্সার্স’ প্রভৃতি। তিনি শুধু ছবিই আঁকেন নি , ভাস্কর্য ও ছাপচিত্রও তাঁর অনুপম সৃষ্টিশীল স্পর্শে সমৃদ্ধ হয়েছে। বলা হয়ে থাকে পিকাসোর শিল্পী জীবনে ছিল নানা কালপর্ব। যেমন: ব্লু, রোজ, কিউবিস্ট প্রভৃতি। ১৯৭৩ সালের ৮ এপ্রিল ফ্রান্সের মুগা শহরে বিশ্ববিখ্যাত এই চিত্রকর প্রয়াত হন।