১০ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের ৭ম দিনে গতকাল রবিবার দেশি–বিদেশি আলোচক ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেছেন, ফোরাত নদীর পানি কুকুর বিড়ালের জন্য উন্মুক্ত ছিল, কিন্তু আহলে বায়তে রাসূলের (দ) সদস্যগণকে সেদিন পানির কষ্টে ফেলে ইয়াজিদ যে নৃশংসতা দেখিয়েছে, ইতিহাসে এই নির্মমতার দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায় না। আল্লাহর অপার নিয়ামত নদী–সমুদ্রের পানির ওপর সকল দেশ ও মানুষের সমান অধিকার রয়েছে এবং পানির হক থেকে কাউকে কখনো বঞ্চিত করা যাবে না এটাই শাহাদাতে কারবালার দর্শন ও অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
গতকালের মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চেয়ারম্যান এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। সুফি মিজানুর রহমান বলেন, কারবালা কোনো ঘটনার নাম নয়, একটি চেতনার নাম কারবালা। আহলে বায়তে রাসূল (দ) সেদিন যে ত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখেছেন দুনিয়ার ইতিহাসে তার দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। আলোচক আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ আশরাফ আশরাফী বলেন, হযরত ইমাম হোসাইন (রা) মসনদ পাওয়ার জন্য ইয়াজিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হননি। তিনি চেয়েছিলেন ইয়াজিদি দুঃশাসন থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে। ইসলামী শরিয়তে মাযহাব মানার কারণ ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক। আহলে বায়তের প্রতি ইমামগণের ভালোবাসা নিয়ে আলোচনা করেন হালিশহর মাদ্রাসায়ে তৈয়বিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিলের অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ জহিরুল আলম, পেয়ার মুহাম্মদ, শাহজাদা সৈয়দ শাহদাত উদ্দিন, শাহেদ করিম, আলমগীর পারভেজ, মুহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা, ইদ্রিচ চেয়ারম্যান। কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক ক্বারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। নাতে রাসুল (দ) পেশ করেন শায়ের মোহাম্মদ মহিউদ্দীন তানভীর। ড. জাফর উল্লাহ ও হাফেজ ছালামত উল্লাহর সঞ্চালনায় মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও মাহফিলের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী হোসেন সোহাগ, মোহাম্মদ খোরশেদুর রহমান, আনোয়ারুল হক, সিরাজুল মোস্তফা, লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদ, দিলশাদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, জাফর আহমদ সওদাগর, আবদুল হাই মাসুম প্রমুখ।