মীরসরাইয়ে ইছাখালী ইউনিয়নের চুনি মিঝির টেক এলাকায় অবৈধভাবে খালের জায়গা দখল করে মাছ চাষীর জন্য দিঘী খনন করেছে প্রভাবশালীরা। এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে জায়গা বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছে তারা। পানিবন্দি হয়ে রয়েছে প্রায় ১০ দিন ধরে। পানির কারণে ২ বেলা রান্না করে খাওয়া–দাওয়া কঠিন হয়ে গেছে তাদের। কেউ কেউ রাতে থাকার জন্য আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি খাস জমি দখল করে অনেক দিঘী খনন করেছে। আবার কেউ কেউ সড়কের পাশে ও ফসলি জমি কেটে এই দিঘী খনন করেছে। পানি চলাচলের একমাত্র খাল দখল করে রেখেছে তারা। সামন্য বৃষ্টি হলে পানি চলাচলের কোন জায়গা থাকে না। এতে বিপাকে পড়তে হয় এই এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ কয়েক জনের দিঘী রয়েছে এই জায়গায়। তারা পানি চলাচলের জন্য কোন ধরনের জায়গা রাখেনি। একমাত্র পানি চলাচলের কোম্পানী নগর নামের খালটি শ্রেণী পাল্টে ছোট করে ফেলছে। এতে বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে।পানিবন্দি হয়ে থাকা নাছিমা জানান, প্রায় ১০ দিন ঘরে পানি। তার ২ সন্তান এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ঠিকমত সন্তানদের খাওয়া দিতে পারেনা। টিউবলের পানি উঠে না। পানির জন্য ১ কিলোমিটার হাঁটা লাগে। দিঘীর পাশে বড় করে পানি চলাচলের জায়গা করলে পানি জমে থাকতোনা বলে জানান তিনি।
ষাটোর্ধ্ব বিবি ছকিনা জানান, কখনো এই রকম পানি উঠতোনা। দিঘী খনন হওয়ার পর হালকা বৃষ্টি হলে ঘর পানি উঠে যায়। দিঘীর মালিকদের কিছু বলে উঠলে তারা ঘর–বাড়ি বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য বলে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, এই জায়গায় ৮৬ ফুট সরকারি খাস জায়গা ছিলো। পানি চলাচলের জন্য অনেক বড় খাল ছিলো। মাছ চাষীরা দিঘী খনন করে খালের জায়গাও দখল করে নিয়েছে। এখন পানি চলাচলের কোন জায়গা নেই। হালকা বৃষ্টি হলে পানি জমে প্রায় ৩০০ পরিবার কষ্ট করে। খালের জায়গা উন্মুক্ত করে দিলে আর পানি জমে থাকবেনা।’
এ বিষয়ে ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তাফা বলেন,বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। মাছ চাষীরা অবৈধ ভাবে দিঘী খনন করেছে। এই এলাকায় অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে কষ্ট করছে। আইনশৃঙ্খলার কমিটিকে কয়েকবার বিষয়টি বলেছে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন,আমি নিজে এই এলাকায় গিয়েছি। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। অবৈধ দিঘী খননের কারণে পানি জমে থাকে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।