জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী কাগজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরবরাহ দিতে গত প্রায় ২ মাস ধরে কর্ণফুলী পেপার মিল কাগজ উৎপাদনে সচল ছিল। কিন্তু কর্ণফুলী নদীতে পানি সঙ্কটের কারণে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে কেপিএমে কাগজ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, কর্ণফুলী পেপার মিলে কাগজ উৎপাদনের জন্য কাপ্তাই উপজেলা সদর বরইছড়িস্থ ওয়াগ্গা পাম্প হাউজ সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে চন্দ্রঘোনায় পানি এনে কাগজ উৎপাদন করা হয়। কিন্তু বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে ওয়াগ্গা পাম্প হাউজ সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। পাম্পের মুখের চেয়ে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কর্ণফুলী পেপার মিলে পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। যার ফলে ৪ ডিসেম্বর থেকে কেপিএমে কাগজ উপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা চালুর স্বার্থে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে ম্যানুয়ালি নদীতে খনন করে পাম্পের মুখে পানি সংযোগ প্রাপ্তির জন্য কাজ শুরু করে। টানা ১০ দিন কাজ করার পর শনিবার পাম্পের মুখে পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। আর প্রয়োজনীয় পানি প্রাপ্তির সাথে সাথে পুনরায় কর্ণফুলী পেপার মিলে কাগজ উৎপাদনও শুরু হয়েছে।
কেপিএমের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মইদুল ইসলাম বলেন, কাগজ তৈরিতে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। তিনি জানান, ১ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন করতে প্রায় ২০০ টন পানির প্রয়োজন হয়। পরিমাণমত পানি না পেলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব হয় না। টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (গতকাল) থেকে কেপিএম পুনরায় উৎপাদনে ফিরে বলে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৩৭ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ মেট্রিক টন কাগজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।












