পানামায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহন করা একটি বাস গিরিসঙ্কটে পড়ে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মধ্য আমেরিকার দেশটির ইতিহাসে কোনো দুর্ঘটনায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পানামার পশ্চিম উপকূলীয় প্রদেশ চিরিকির একটি আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সময় বুধবার ভোররাতে দুর্ঘটনায় পড়ে। খবর বিডিনিউজের।
বাসটির যাত্রীরা মধ্য আমেরিকাকে দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে সংযুক্তকারী বিপজ্জনক বিস্তৃত জঙ্গল এলাকা ডারিয়েন গ্যাপ পেরিয়ে এসেছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুয়ালাকা আশ্রয় কেন্দ্রের কাছে দুর্ঘটনায় পড়া বাসটির অর্ধেকেরও বেশি যাত্রী নিহত হয়েছে। ওই অঞ্চলটিতে অসংখ্য আঁকাবাঁকা সড়ক আছে। আহত প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পানামার সামাজিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। পানামার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ হতাহতদের জাতীয়তা প্রকাশ করেনি। তারা বলেছে, হতাহতদের আত্মীয়স্বজন ও দূতাবাসগুলোর সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করা হবে। পানামার প্রেসিডেন্ট লরেন্টিনো কর্টিজো এক টুইটে বলেছেন, সরকার দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে এবং অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মানবিক ত্রাণ সহায়তা দেওয়া ও ভালো পরিবেশে রাখার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করছে।
গত বছর রেকর্ড দুই লাখ ৪৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বিপজ্জনক ডারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করেছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল ভেনেজুয়েলার নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন, কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এদের অনেককেই পানামায় ফিরতে হয়েছে, যেখান থেকে ভেনেজুয়েলায় ফেরার পরিবহন খরচ জোগাড় করা অনেকের জন্যই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আরও ৩২ হাজার ৮০০ জন ডারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে পানামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।