পাঠ্যবইয়ে ভুল : এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে তলব

| সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ে ‘ভুল তথ্য’ ও ‘ইতিহাস বিকৃতি’র ব্যাখ্যা জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক (এনসিটিবি) বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং একজন সদস্যকে তলব করেছে হাই কোর্ট। আগামী ১০ নভেম্বর তাদের হাই কোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়। খবর বিডিনিউজের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ‘দায়সারা’ ও ‘দায়িত্বহীন ভুল’ এবং জাতির সংগ্রামের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসের ‘বিকৃতি’ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সেই সঙ্গে এসব ‘ভুল’ ও ‘বিকৃতি’ সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ভুল ও বিকৃতিসহ এসব পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেঙটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য (কারিকুলাম), সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এর জবাব দিতে হবে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আলমগীর আলম গত ৬ সেপ্টেম্বর এ রিট অবেদনটি করেছিলেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আলী মুস্তফা খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী আলী মুস্তফা খান বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ১১টি পাঠ্য বইয়ে ৫২টি ভুল ও বিকৃতি চিহ্নিত করেছেন আবেদনকারী। পাঠ্য বইয়ে এসব ভুল-বিকৃতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে কারণে আদালত এনসিটিবি চেয়ারম্যান ও একজন সদস্যকে তলব করেছেন এবং রুল জারি করেছেন।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা, চারু পাঠ; সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, সপ্তবর্ণা, গণিত; অষ্টম শ্রেণির আনন্দপাঠ, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নীতি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র নিয়ে মোট ১১টি পাঠ্য বইয়ের ‘ভুল ও বিকৃতি’ তুলে ধরা হয়েছে রিট আবেদনে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ির পর্যটন অর্থনীতির বিকাশ
পরবর্তী নিবন্ধট্রেনে পাথর ছোড়া রোধে আরও জনবল চায় মন্ত্রণালয়