নতুন পাঠ্যবই যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করে সংশোধনী অতি দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানোর কথা বলেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড–এনসিটিবি। গতকাল মঙ্গলবার এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই আহ্বানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দেওয়া হয়েছে। এই তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করে সংশোধনীগুলো অতি দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। খবর বিডিনিউজের।
যারা নানা তথ্য, উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন আসিফ মাহতাব, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। এই ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পাঠ্যবই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। তার ছিঁড়ে ফেলা অংশে ছিল হিজড়াদের জীবন নিয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ। আসিফের দাবি, এই গল্পের মাধ্যমে সমকামিতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। তবে পাঠ্যবই রচনার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী না বুঝে পাঠ্যবইয়ের বিরোধিতা করছে। ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।











