পাচার অর্থ ফেরালে দায়মুক্তি থাকছে স্থাবর-অস্থাবরে বাদ

অর্থবিল ২০২২ পাস

| বৃহস্পতিবার , ৩০ জুন, ২০২২ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

বিদেশে পাচার করা অর্থে গড়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বৈধ করার সুযোগ সমালোচনার মুখে বাদ দেওয়া হলেও নির্ধারিত হারে কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে নগদ টাকা দেশে আনার সুযোগ ঠিকই থাকছে। এ বিষয়টিসহ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রস্তাবিত বাজেটের কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে অর্থবিল ২০২২ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর ফলে সাড়ে ৭ শতাংশ কর দিয়ে বিদেশ থেকে আনা অর্থ দেশে সরকারের খাতায় বৈধ আয়ের তালিকায় যুক্ত করা যাবে। ওই আয়ের উৎসও জানতে চাওয়া হবে না। খবর বিডিনিউজের।

অর্থমন্ত্রী কামাল গত ৯ জুন তার বাজেট প্রস্তাবে বিদেশে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিয়ে তা বৈধ করার সুযোগ দিতে বলেছিলেন। তবে অর্থবিল পাসের সময় তা বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন একটি ধারাও যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনে। কোনো বাংলাদেশির বিদেশে থাকা এমন সম্পদের খোঁজ যদি পাওয়া যায়, যে সম্পদের হিসাব আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়নি, তাহলে জরিমানা করা যাবে ওই সম্পদের মালিককে। উপ কর কমিশনার তদন্ত করে এমন সম্পদের খোঁজ পেলে সেই সম্পদের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ জরিমানা করতে পারবেন। আর এই জরিমানা আদায়ের জন্য ওই ব্যক্তির নিজের অথবা তার প্রতিনিধির যে কোনো সম্পদ জব্দ করতে পারবেন উপ কর কমিশনার। বিদেশে থাকা সম্পদ আয়কর রিটার্নে দেখানো না হলে উপ কর কমিশনার সম্পদের খোঁজে দেশের বাইরে তদন্তও করতে পারবেন। এর পাশাপাশি কম হারে করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে পাস হওয়া অর্থবিলে।

প্রস্তাবিত বাজেটে বলা ছিল, যেসব কোম্পানি বছরে ১২ লাখ টাকার বেশি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবে, তারা কম হারে করপোরেট কর পরিশোধের সুবিধা পাবে। সংশোধনে তা ৩৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ১০ শাতাংশের বেশি লেনদেন হলে, তাদের কর্পোরেট কর সাড়ে ২২ শতাংশের বদলে কমে হবে ২০ শতাংশ। আর পরিশোধিত মূলধনের ১০ শাতাংশের কম লেনদেন হলে, তাদের কর্পোরেট কর ২৫ শতাংশের বদলে কমে হবে সাড়ে ২২ শতাংশ।

ওই শর্ত পূরণ হলে পুঁজিবাজারে অনিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর বিদ্যমান ৩০ শতাংশ থেকে কমে সাড়ে ২৭ শতাংশ হবে। এবং ব্যক্তি কোম্পানি ক্ষেত্রে এই কর ২৫ শতাংশ কমে সাড়ে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তাও শিথিল করা হয়েছে। অর্থবিলে কেবল ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলবণ উৎপাদনে রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধহিসাবরক্ষককে সবধরনের আর্থিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি