পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে ফিল্মি কায়দায় ঘরে ঢুকে এক ব্যাংকারকে পিটিয়ে জখম করেছে কয়েকজন ধনীর দুলাল। হামলার কারণে ওই ব্যাংকারের একটি চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আহত ব্যাংকারের নাম মো. আলী আরশাদ। তিনি মিচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, আগ্রাবাদ শাখায় কর্মরত আছেন।
এ ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা হয়েছে জানিয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান আজাদীকে বলেন, মামলার এক নম্বর আসামি রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর আসামি ওজাইর শেঠ (৩২) সহ অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী আহত ব্যাংকার আলী আরশাদ অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশী ও ওজাইর শেঠ তার পূর্ব পরিচিত এবং ছোট ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশীর সাথে আলী আরশাদ তার অপর বন্ধু মুনতাসির মামুনের পরিচয় করিয়ে দেন। গত ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশী বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশী মুনতাসির মামুনের থেকে দশ লাখ টাকা এবং বাদী আলী আরশাদের থেকে চার লাখ টাকা ধার নেন। এরপর বিভিন্ন সময় পাওনা টাকা দিচ্ছি, দেবো বলে কাল ক্ষেপণ করতে থাকে আসামি রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশী। একটা সময় এসে তিনি বাদী আলী আরশাদের ওপর ক্ষেপে যান।
গত ৭ জানুয়ারি রাত সোয়া আটটার দিকে রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশী, ওজাইর শেঠ ও তাদের দুই বন্ধু আলী আরশাদের খুলশী টাউন সেন্টারের ফ্ল্যাটে (নং ৪/ কে) লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক ঢুকে। রাঈদ আহম্মেদ কোরাইশী আলী আরশাদের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেই আঘাত তার চোখে লেগে রক্তাক্ত জখম হয় এবং চোখের কর্ণিয়া স্থানচ্যূত হয়। ওজাইর শেঠ ও তাদের দুই বন্ধু এসময় আলী আরশাদকে এলোপাথারি পেটাতে থাকে।
পরে তার বন্ধু মুনতাসির মামুন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এলে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, তার আঘাতপ্রাপ্ত বাম চোখটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বর্তমানে তিনি পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।