পাইকারিতে চিনির দাম আরো কমেছে

পাইকারিতে প্রতি কেজি ১২৩ টাকা, খুচরায় ১৩৫ টাকা

জাহেদুল কবির | বুধবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে চিনির দাম আরো কমেছে। গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি মণ (৩৭.৩২ কেজি) চিনির দাম কমেছে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ১২৩ টাকা। খুচরা বাজারে সেই চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির বাজার বাড়ছে। সে তুলনায় দেশের বাজারে বর্তমানে চিনির বাজার কমতির দিকে রয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করলেও আমাদের দেশে চোরাই পথে চিনি প্রবেশ করছে; যার ফলে বাজার নিম্নমুখী। গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬০৫ টাকা। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ টাকায়। নগরীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, খাতুনগঞ্জের বাজারে চিনি কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় ডিও ‘ডেলিভারি অর্ডার’ বেচাকেনার মাধ্যমে বিভিন্ন আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই স্লিপটি বেচাকেনা হচ্ছে। কোনো কোম্পানি বাজার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও কিনে নেয়। যে দরে ডিও কেনা হয় তার বাজারদর যদি বেড়ে যায়, তখন পণ্য ডেলিভারি দিতে তারা গড়িমসি করে। আবার দেখা যায়, কোম্পানির পণ্যই আসেনি, কিন্তু ডিও কিনে রেখেছেন অনেক বেশি। এর ফলেও কোম্পানি বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না। ফলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এক্ষেত্রে চিনির ডিও বেচাকেনা বেশি হয়।

খাতুনগঞ্জের চিনি ব্যবসায়ী আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ আজাদীকে বলেন, ভারত চিনির রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরপর চিনির বাজার বেড়ে যায়। তবে এখন আবার বাজার কমে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধান বিচারপতি হলেন ওবায়দুল হাসান
পরবর্তী নিবন্ধচার কর্মকর্তা বরখাস্ত