এগারো কোটি’র বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগের মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল ভোর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার পেছনে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই চিকিৎসক তার স্ত্রীর বড় ভাই।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে দৈনিক আজাদীকে বলেন, এগারো কোটি’র বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগের ঘটনায় গত বছরের ৯ অক্টোবর ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি দায়ের হয়। এ মামলার এজহারনামীয় আসামি এন এম জিয়াউল আলম। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকার সিআইডি। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার সিআইডি চট্টগ্রামে আসে এবং আমাদের সহযোগিতায় জিয়াউলকে গ্রেপ্তার করে। পরে গতকাল বিকালে জিয়াউলকে সিআইডি ঢাকায় নিয়ে যায় বলেও জানান ওসি।
সূত্র জানায়, কাফরুল থানায় করা মামলাটির মোট আসামি ১৯ জন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকও আছেন। এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, এগারো কোটি’র বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। পরে এসব তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে দেশ–বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিকন এসব তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।