ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার ওসিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং
উপ–পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ। গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে সৈয়দ মো. মোস্তাকিম নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর ১৩ (১), (২) এর (ক) (খ) (গ) এবং ১৫ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এছাড়া সৈয়দ মো. মোস্তাকিম ও তার পরিবারকে কেন নিরাপত্তা দিতে
আদেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে অভিযুক্তদের আগামী ১৪ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোস্তাকিমের আবেদন অনুযায়ী আদালত এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে বলা হয়, ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ১০ জানুয়ারি চমেক হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের একপর্যায়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনসনহ একদল পুলিশ সেখানে জড়ো হয় এবং আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয়। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় আন্দোলনকারী সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে। তখন তাকে মারধর করা হয় এবং থানায় নিয়ে গিয়েও মারধর ও নির্যাতন করা হয়। মারধরের সময় এসআই আবদুল আজিজ মোস্তাকিমকে বলেন ‘ওসি নাজিম স্যারের সঙ্গে আর বেয়াদবি করবি?’ এ সময় ওসি নাজিম বলেন, ‘শালারে রিমান্ডে এনে থানায় পিটাতে হবে, তারপর বুঝবি পুলিশ কি জিনিস?’ এরপর থানায় মারধরের বিষয়টি ফাঁস করলে মোস্তাকিমকে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পায় সৈয়দ মো. মোস্তাকিম।