পাঁচটি বিলুপ্ত প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার

পাচার চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে পাঁচটি বিলুপ্ত প্রজাতির ‘মুখপোড়া হনুমান’ উদ্ধার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে সিএনজি টেঙি চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর একই এলাকা থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুইটি গোর খোদককে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেনকঙবাজার জেলার চকরিয়া থানার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দিগরপান খালী স্কুলের পাশে মৃত আবদুল মালেকের ছেলে মো. সেলিম (৫৩), একই থানার চকরিয়ার পৌরসভার মৌলভীর চরের আবুল খায়েরের বাড়ির ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে নুরুল কবির (৩১) ও একই জেলার মহেশখালী থানার শাপলাপুর বাড়িয়াছড়ি এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন কাদের প্রকাশ হেলাল উদ্দিন (৩৫)

এ প্রসঙ্গে সিএমপির উপ কমিশনার (ডিসিদক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত ও পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা বৈশ্বিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করা হয়। পাচারকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কঙবাজার থেকে এসব বিরল বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে। এরপর বিভিন্ন জনের হাত ধরে ভারত সীমান্ত হয়ে ইউরোপআমেরিকা পাচার হচ্ছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা কম দামে বন্যপ্রাণীগুলো সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে। যে প্রাণী যত বেশি বিরল তত দাম বেশি। তাই লোভে পড়ে পাচারকারীরা এসব প্রাণী ধরে বিদেশে পাচার করে। পাচার চক্রে আরও যারা জড়িত তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারীরা জানিয়েছে কঙবাজারের মহেশখালী থেকে হনুমান পাঁচটি চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এরপর চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু পার হয়ে বাকলিয়ায় ইমরান নামে এক ব্যক্তির কাছে দেওয়ার কথা ছিল। ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মুখপোড়া হনুমানগুলো ভারতের সীমান্ত দিয়ে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে মো. সেলিমকে বাঁশখালী থানায় চারটি ধনেশসহ গত ২৪ মে গ্রেপ্তার হওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ সাল মোতাবেক ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে। ১ মাস ২ দিন কারাভোগ করার পরে কারাগার থেকে বের হয়ে পুনরায় বন্যপ্রাণী পাচারে জড়িয়ে পড়ে। কম পরিশ্রমে বেশি টাকার লোভে এই কাজটা করে থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি মুসলিম লীগের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে