পাঁচ দেশে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ পাওয়া গেছে

পরিবারের সাত সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে জমা ৬৩৬ কোটিরও বেশি টাকা জব্দ

বাসস | মঙ্গলবার , ১১ মার্চ, ২০২৫ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি দেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, একটি যৌথ তদন্ত দল যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকেও রাশিয়ার স্লাশ ফান্ডের (অবৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অর্থের একটি রিজার্ভ, বিশেষত রাজনৈতিক ঘুষ) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে জমা ৬৩৬ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত বা জব্দ, রাজউকের ৬০ কাঠা প্লট এবং ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ জমিসহ ৮টি ফ্ল্যাট জব্দ করা হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে লুটপাট ও জালিয়াতির অভিযোগে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছয়টি মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাসিনার পরিবারের সাত সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দু’টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে এবং ১১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা থাকা ৫ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা জব্দ করেছে। তিনি বলেন, বিআইএফইউ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণও দুদকে পাঠিয়েছে।

মানি লন্ডারিং সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল এবং এরমধ্যে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে পাচার হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, এটি ছিল এক ধরনের বিশাল ডাকাতি। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগরিকায় ওয়াসার ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতে সময় লাগবে আরও একদিন
পরবর্তী নিবন্ধঘরের সামনে খেলছিল ৩ বছরের শিশু, নিয়ে গেল এক নারী