‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ ক্যটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের একজন নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালংয়ের নারী সেনোয়ারা আক্তার। গতকাল তিনিসহ পাঁচজন শ্রেষ্ট জয়িতাকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা ও সংবর্ধনা দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর। বাকী চাঁর শ্রেষ্ঠ জয়িতার মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী কুমিল্লার লাভলী আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী নোয়াখালীর মমতাজ বেগম, সফল জননী নারী চাদপুরের আমেনা বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী চাদপুরের ড. রওশন আরা বেগম।
নগরীর প্রাইমারি টিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) অডিটরিয়ামে আয়োজিত সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এএসএম মাহতাব উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক জাকিয়া আফরোজ ও জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ কর্মসূচির অতিরিক্ত পরিচালক সালেহা বিনতে সিরাজ।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় জানায়, দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে নারীদেরকে আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করা এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্যহীন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশব্যাপী জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রম ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম বিভাগের ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।