পলি জমে ভরাট, গুপ্তছড়া ঘাটে ভাটায় দুর্ভোগ

দ্রুত টেকসই ওয়াকওয়ে নির্মাণের আশ্বাস

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১২:১৮ অপরাহ্ণ

সন্দ্বীপের কুমিরাগুপ্তছড়া নৌরুটের গুপ্তছড়া ঘাটে জেটির সামনের অংশ পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে যাত্রীরা। আগে জেটির মাথা থেকে ভাটার সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত কাঠের ব্রিজ ছিল। তবে রেমাল ঘুর্ণিঝড়ের কারণে কাঠের ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। আবার পলি জমেও ভরাট হয়ে যায় ব্রিজের সম্মুখ অংশ। ফলে ভাটার সময় হাটুকোমর পানি পানি ও কাদা মাড়িয়ে জেটিতে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন মহিলা যাত্রীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় গুপ্তছড়া ঘাটে যান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষবিআইডব্লিউটিএ’র (বন্দর ও পরিবহন) চট্টগ্রামের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। হাটু পানিতে নেমে কাদা মাড়িয়ে তাকে উঠতে হয় গুপ্তছড়া জেটিতে। সরেজমিনে দেখেন যাত্রীদের দুর্ভোগ। তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে গুপ্তছড়া ঘাটে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসলেম উদ্দিন মুন্না, ওমর ফয়সাল, ইলিয়াস সুমন, বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার জগলুল হোসেন নয়ন, কুমিরা ঘাটের পরিচালক শামছুল হক দলু। এ সময় গুপ্তছড়া খালও পরিদর্শন করেন তারা। যাতে শীঘ্রই এ খাল ড্রেজিং করে নৌযান সহজে ভিড়ানোর উদ্যোগ নেয়া যায়। পরে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমার সাথে ঘাটের সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। ইউএনও রিগ্যান চাকমা দ্রুত গুপ্তছড়া ঘাটে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে যাত্রী দুর্ভোগ কমানোর উপর জোর দিয়ে বলেন, যেভাবে জেটিতে পলিমাটি জমে তাতে বার বার খনন না করে ব্রিজ বাড়ানোর বিকল্প দেখছি না। ভাটার সময়ের দুর্ভোগসহ যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও নিরাপদ করার জন্য সন্দ্বীপের সন্তান বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও সড়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খানের নিকট একটি চিঠি পেশ করা হবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদক্ষিণ রাউজান পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বর্ধিত সভা