পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্প ও বৈচিত্রময় সংস্কৃতির বিকাশ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে রাঙামাটিতে কর্মরত পাঁচ সংবাদকর্মী দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশব্যাপী তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গত ৪ অক্টোবর যাত্রা শুরু করা এ পাঁচ সংবাদকর্মী হলেন
এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলায়মান, দেশ টিভি ও দৈনিক আজাদীর জেলা প্রতিনিধি বিজয় ধর, আলোকিত বাংলাদেশ-এর জেলা প্রতিনিধি দীপ্ত হান্নান, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি উচিং ছা রাখাইন কায়েস, মানবকণ্ঠ-এর জেলা প্রতিনিধি মো. নুরুল আমিন।
প্রচারাভিযানের প্রথম ধাপে এসব সংবাদকর্মী চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা সফর করেন।
এ সময় তারা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংবাদকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী ও পর্যটন উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসব কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প, পাহাড়ের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প ও পাহাড়ের কৃষি সম্ভাবনার নানা দিক তুলে ধরেন।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তারা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা বিশ্বের অনেক দেশে নেই। নানা কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্প বিকশিত হতে পারেনি। শুধু এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে পাহাড়ের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে। সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।
তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে নানা নেতিবাচক প্রচারণা এ এলাকার পর্যটন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায়। ইতোমধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ সরকারের নানামুখী উন্নয়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গড়ে উঠেছে বহু সরকারি-বেসরকারি পর্যটন স্পট কিন্তু প্রচারণার অভাব এবং নেতিবাচক প্রচারণা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারায় আলোর মুখ দেখছে না পাহাড়ের পর্যটন শিল্প।
এ অবস্থায় নিজেদের তাগিদে পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার পর্যটন ও সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছেন পাহাড়ের এ পাঁচ সংবাদকর্মী।
প্রথম ধাপে সফরে বের হওয়ার আগে তারা রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক তাদের এ কাজের প্রশংসা করে সফলতা কামনা করেন।