পর্যটকদের রাঙামাটি জেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আগামীকাল ১ নভেম্বর থেকে। এতে করে ১ নভেম্বর শুক্রবার থেকে বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ জেলাজুড়ে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘পর্যটকদের জন্য রাঙামাটি জেলা ভ্রমণ উন্মুক্তকরণ’ বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ১ নভেম্বর থেকে আগের মতোই পর্যটকরা রাঙামাটি ভ্রমণ করতে পারবেন। রাঙামাটিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় থাকায় পর্যটক ভ্রমণে সকল ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলো। সাজেক ভ্যালিতে খাগড়াছড়ি জেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়িতে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর সাজেক যাওয়া যাবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন ছাড়াও জেলার পর্যটক সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ দিন তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জেলা প্রশাসনগুলো। অনিবার্য কারণে নিরুৎসাহকরণের কথা জানানো হলেও পাহাড়ে সামপ্রতিক সময়ের সামপ্রদায়িক সহিংসতার জেরে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পর্যটকদের কার্যত পাহাড়ে আসতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় বলে জানায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা উপজেলা এবং ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে সামপ্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সামপ্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত কার্যক্রম চলমানের মধ্যেই গত ১ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি উপত্যকায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে আসে জেলা প্রশাসন।
৪ অক্টোবর থেকে সাজেক ভ্যালিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিরুৎসাহিকরণের মধ্যেই ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান– তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল স্থানীয় জেলা প্রশাসনগুলো।
