স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেবে পর্তুগাল। দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ার সুযোগ পাবেন তারা। গোল্ডেন ভিসার আদলে সলিডারিটি ভিসা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বর্তমানে আবাসন সংকটে ভুগছে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। তাই অভিবাসিদের জন্য বাসস্থান এবং দেশটির নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন দিতেই গোল্ডেন ভিসার মতো একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান্তোনিও লেইতো আবারো এতথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, সলিডারিটি ভিসা নামের এই প্রকল্পটি গোল্ডেন ভিসা প্রকল্পের পরিপূরক হবে। গোল্ডেন ভিসা প্রকল্পের আওতায় আ–ইউরোপীয় ধনী নাগরিকদের বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
গোল্ডেন ভিসা চালুর পর থেকে এর আওতায় বিদেশিরা ৭৩০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছেন পর্তুগালে। তবে সমালোচকরা বলেছেন, এই ভিসা প্রকল্প আবাসন সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পর্তুগালে দীর্ঘদিনের বসবাসে আগ্রহী ধনী বিদেশিরা রিয়েল এস্টেট বা আবাসন খাতে বিনিয়োগে বেশী আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু সেই সুযোগ সীমিত করে এনেছিল আগের সরকার। বরং সংস্কৃতির বিকাশ, গবেষণা কিংবা কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে এমন উদ্যোগে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছিল।
২০০৭ সাল থেকে ইউরোপের যেকোনো দেশের ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিদের কাজের আওতায় নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দিয়ে আসছিল লিসবন। ২০১৮ সালে অনিয়মিত অভিবাসিদের জন্যও এই সুযোগ করে দেয় সাবেক অভিবাসীদের জন্যও এই সুযোগ করে দেয় সাবেক সোশ্যালিস্ট সরকার। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই প্রক্রিয়ার অবসান ঘটিয়েছে মাস দুয়েক আগে ক্ষমতায় আসা মধ্য–ডানপন্থি সরকার। নতুন নীতির আওতায় পর্তুগালে অনিয়মিতভাবে আসা বিদেশিদের নিয়মিত হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই নীতি ঘোষণার পরদিন সাক্ষাৎকারে মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী লেইতো বলেন, আমরা প্রচলিত প্রকল্পটি পরিবর্তন করিনি। তবে আমরা দুই ধরনের সংহতি ভিসা তৈরি করেছি। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্রহী ধনী বিদেশিদের সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়িতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে, যাতে পর্তুগিজ নাগরিকেরা সুলভ মূল্যে বাড়ি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারেন। এছাড়া অভিবাসীদের জন্য বাসস্থান তৈরি এবং ইন্টিগ্রেশন প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ দেওয়া হবে।