ধূমপান একটি মারাত্মক বদভ্যাস। এর কোনো উপকারিতা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। ধূমপানের ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক হয়। এছাড়াও ফুসফুস, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, কিডনি, জরায়ু, প্রভৃতি স্থানে ক্যান্সার হয়। ‘ধূমপান হৃদরোগ বা ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ, প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটেই এমন কথা লেখা থাকলেও সতর্কবাণীর ধার ধারে না ধূমপায়ীরা। নিমেষেই প্যাকেটের পর প্যাকেট সিগারেট ধোঁয়া করে উড়িয়ে দেয় বাতাসে। যে ব্যক্তি ধূমপান করছে, তার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, পাশে থাকা মানুষটিরও সমান ক্ষতি হচ্ছে ধূমপায়ীর সিগারেটের ধোঁয়ায়। প্রত্যক্ষ ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর পরোক্ষ ধূমপান। দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। বিশেষ করে শিশু ও নারীরা।
অনেকেই গণপরিবহনে ধূমপান করেন। কেউ কেউ অফিস-আদালত এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ধূমপান করেন। অনেক সময় ধূমপান বন্ধের জন্য বললে ধূমপায়ীরা বিরক্ত হয়। কিছু ক্ষেত্রে গালাগালি বা হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। গণপরিবহণ, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারে প্রকাশ্যে ধূমপান করা কখনোই সমীচীন নয়। প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধের জন্য কঠোর আইন করা দরকার। সেই সঙ্গে আইন বাস্তবায়নেও কঠোর হওয়া দরকার। ‘প্যাসিভ স্মোকিং’ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন প্রণয়নের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাজ্জাদ হুসাইন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া।