আজকাল খুব উড়ছেন পরী! গেলো বছরের শেষ আর চলে বছরের শুরুটা বুঝি মনিময় ঢালিউড। চয়নিকা চৌধুরীর প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’ দিয়ে গেলো বছর হ্যাপি এন্ডিং করে নতুন বছরের রাজকীয় শুরুটা হলো তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’ দিয়ে! এরমধ্যেই যুক্ত হলেন রাশিদ পলাশ ঐতিহাসিক ছবি ‘প্রীতিলতা’ আর ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’ ইউনিটে। তার সাম্প্রতিক ৪টি ছবিই যেকোনও অভিনেত্রীর জন্য ঈর্ষণীয়। সম্ভবত পরী নিজেও সেটি টের পেয়েছেন মহামারি পেরিয়ে নতুন বছরে পা ফেলে! কারণ, বিরামহীন উড়ছেন- শুটিংয়ের কাজে। অথচ তার একটাই বদনাম ছিল- কুইন অব শিডিউল মিসিং!
এসব অপবাদের দিন বুঝি ফুরালো। বদলে গেছেন পরীমনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢালিউডে পরীমনির চেয়ে ডেডিকেটেড অভিনেত্রী আপাতত আর একজনও নেই। যেমন টানা ১০ দিন সিলেট অঞ্চলে ‘মুখোশ’ ছবির শুটিং করে ক্লান্ত-শ্রান্ত পরী ঢুলুঢুলু চোখে ঢাকায় ফিরেছেন গত বুধবার বিকালে। দম ফেলার সুযোগ বৃহস্পতিবার দিনটুকুই ছিল। কারণ, গতকাল শুক্রবার দুপুরেই তাকে ধরতে হয়েছে ফের সিলেটের উড়োজাহাজ। পরী জানান, ‘বিশ্বসুন্দরী’ মুক্তির পর বিরতিহীনভাবে চলেছে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। তার সঙ্গে শুক্রবার থেকে প্রদর্শন শুরু হয়েছে জেলা শহরগুলোর মিলনায়তনে। এই উদ্যোগের শুরুটা হচ্ছে সিলেটের শাহী ঈদগাহে অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।