মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন অভিনেত্রী পরীমনি। গতকাল রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।
গত ২৯ নভেম্বর মামলায় পরীমনির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে সেদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ জবানবন্দি শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন পর আজ তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন। দুপুর ১২টায় আদালতে এলেও দুপুর ২টার দিকে সাক্ষ্য দিতে বিচারকের খাসকামড়ায় প্রবেশ করেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর আসামিপক্ষ জেরার জন্য সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২২ জানুয়ারি জেরার দিন ধার্য করেন। মামলার তিন আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম এদিন আদালতে হাজির ছিলেন।
খাসকামড়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় দুই আসামি ও উভয় পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এতথ্য জানান। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম নামে আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। এরপর ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করা হয়।
অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ–বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। এরপর রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ–পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসিরসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।