বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা আরও বেশি হলে এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার আরও কম হতো বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। করোনা ভাইরাস ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এক দশমিক ৪২ শতাংশ মারা যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, সেটি প্রায় জাপানের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, সাড়ে ছয় মাসের বেশি সময় বাংলাদেশে করোনা এসেছে। এই ভাইরাস সমগ্র পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এখনও পৃথিবী স্বাভাবিক হয়নি। আমাদের দেশে কার্যত সবকিছু বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা না করলেও লকডাউন করা হয়েছিল। পৃথিবী যখন স্তব্ধ হয়ে গেল, বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল, তখন অনেকে শঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশে কি পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা নানা মত-অভিমত ব্যক্ত করেছিল। তবে দেশে করোনার প্রকোপ যতটা হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছিলেন, সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে সংক্রমণের হার তার থেকে অনেক কম হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে অনেকে শঙ্কার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সমস্ত শঙ্কা-আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা শুধু সচল থেকেছে তা নয়, ধাবমান গতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, এশিয়ার প্রায় সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশে করোনাকালে পাঁচ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা না হলে আমাদের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল, তা করা সম্ভব হতো। খবর বিডিনিউজের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শীতকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে। আমি অনুরোধ জানাব, আমরা যেন এই ধারণায় না ভুগি যে করোনা চলে গেছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে করোনা আছে, শীতকালে সেটি বাড়তে পারে এবং সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন।