পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারছে না মন্তব্য করে ঢাকার ‘খারাপ পরিবেশ’ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার অবৈধ ইট ভাটা নিয়ে একটি রিট মামলার শুনানিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ থেকে এ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। খবর বিডিনিউজের।
মনজিল মোরসেদ বলেন, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর করা বায়ু দূষণ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলে। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় রিটকারীর পক্ষে তিনি আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন তাতে সংযুক্ত করা হয়। ঘুষ নিয়ে ইটভাটাকে লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে পরিবেশ অধিপ্তরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার আর্জি জানানো হয় ওই সম্পূরক আবেদনে।
যেসব প্রতিবেদন আবেদনে যুক্ত করা হয়েছিল, তার মধ্যে একটির শিরোনাম ‘বিক্রি হচ্ছে ইটভাটার ছাড়পত্র, বাড়ছে পরিবেশদূষণ‘। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ‘আজকের পত্রিকায়’ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুনানির সময় আদালত বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। দেশের নদীগুলো দূষিত, বাতাস দূষিত এবং ঢাকার অবস্থা আরও খারাপ। সুতরাং আমরা শঙ্কিত।