গত বছরটা দুর্দান্তভাবে শেষ হয়েছিল পেসার শরিফুল ইসলামের। বিপিএল শুরুর আগে তাই আশার কথা শুনিয়েছিলেন। আর বিপিএলের প্রথম দিনেই সে আশার বাস্তবায়ন দেখালেন। পেলেন জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিক এবং তা পরিবারের সামনে। স্বভাবতই খুশি। মুখে চওড়া হাসি নিয়েই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি নিজেই জানালেন হাসির কারণ। প্রথমবারের মতো তার খেলা দেখতে এসেছেন পরিবারের সদস্যরা। দুর্দান্ত বোলিং তো বটেই, চওড়া হাসির এটিও একটি কারণ। এরপর জানিয়েছেন, স্বীকৃত ক্রিকেটে তো বটেই– তার মনে পড়ে এমন সব ম্যাচে এটিই তার প্রথম হ্যাটট্রিক। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারানোর পর দুর্দান্ত ঢাকার এই পেসার বলেন, ‘খুব ভালো অনুভূতি, বিশেষ করে আমার পরিবার আজকে মাঠে এসেছে প্রথম খেলা দেখতে এবং সেদিনই আমার হ্যাটট্রিক হয়েছে। এটা খুব ভালো লাগছে।’ শরিফুল ইনিংসের একেবারে শেষ তিন বলে তিন উইকেট নেন। অথচ ওভারের শুরুটা ভালো হয়নি তার। টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন খুশদিল শাহ। স্বাভাবিকভাবেই তখন ভড়কে যাওয়ার কথা যেকোনো বোলারের। শরিফুল জানালেন, ‘চিন্তা–ভাবনায় হ্যাটট্রিক ছিল না, চিন্তা করেছি আমার হাতে তখনো বল আছে আরও তিনটা। আমি ভালোভাবে ফিরে আসতে পারব। হয়তোবা এখান থেকে একটা উইকেট নিতে পারব। কিন্তু হ্যাটট্রিকটা… (ভাবিনি)।’ ‘দুইটা ছক্কা খাওয়ার পর মনে করছিলাম কীভাবে রান আটকে দেওয়া যায়। কারণ, হয়তো আরেকটা যদি ছয় খেতাম স্কোরটা বড় হয়ে যেত। আমার লক্ষ্যটা ছিল যেন আমি ডট বল করতে পারি। তাসকিন ভাই, মোসাদ্দেক ভাই একই কথা বলেছিলেন যে, পেস বদল করলে হয়তো ভালো হবে। কারণ, উইকেটে একটু আলাদা বাউন্স আছে।’ গত বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে সিরিজ সেরা হন শরিফুল। এই পেসারের বোলিং মুগ্ধ করেছিল সবাইকে। এরপর নতুন বছরটাও সেভাবে শুরু করতে চাওয়ার আশা করেছিলেন শরিফুল। সেটি করতে পেরে খুশি এই পেসার। তিনি বলেন, ‘আমি গত বছর যেভাবে শেষ করেছি এ বছর সেভাবে শুরু করতে চেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথম ম্যাচটা ওরকম হয়েছে, চেষ্টা করব বাকিগুলো করার। আর মিরপুরের উইকেট আজকে একটু ভালো, খুব ভালো লাগছিল বল ক্যারি করতেছিল। ভালো স্কোরিং উইকেট ছিল।’