সন্তানের প্রথম শিক্ষার হাতে কড়ি শুরু হয় পরিবার থেকে, মা বাবার কাছ থেকে। বিশেষ করে মায়ের প্রাধান্য বেশি থাকে। বাবা কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে বরাবরই সন্তানের দেখভাল মায়ের উপরই বর্তায়। বর্তমানে মায়েরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। সে ক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচিত ছোট সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। এরপর আসে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার। স্কুল শিক্ষকের ভুমিকাও কোনো অংশে কম নয়। মা বাবার পাশাপাশি শিক্ষকদেরও শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দেয়া উচিত। বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে কেমন ব্যবহার, শিক্ষকের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে মূলত এগুলো সন্তানেরা পরিবার থেকে শিখে। ছোট বেলা থেকে সন্তানদের যদি তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে এবং কীভাবে জীবন যাপন করতে হবে তাদের জীবনের লক্ষ্য কী হবে সেটা একটু একটু করে মনে গেঁথে দিতে হবে। তবেই সন্তানেরা তাদের জীবনকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে পারবে। বর্তমানে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে উচ্ছৃঙ্খল ছেলেমেয়েদের আনাগোনা বেশি চোখে পড়ে। তারা এখন নিজেদের অনেক জ্ঞানী মনে করে। অনেকটা ইঁচড়ে পাকা। বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান তো দূরের কথা দেখলে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। পরিবারে প্রতিটি সদস্যের ছোটোদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। তাদের সামনে বড়রা এমন আচরণ করবে না পরবর্তীতে যাতে তাদের জীবনে এর প্রভাব পড়ে। ছোটোরা হচ্ছে নরম মাটির মত। ছোটো থেকে তাদের যেভাবে গড়ে তুলবে তারা সেভাবে তৈরি হবে। সুতরাং মা বাবা সহ প্রতিটি সদস্য সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাগুলো যদি পরিবার থেকে দেয়া যায় তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম মেধা মনন শিক্ষা দীক্ষা ও চারিত্রিক গুণাবলী নিয়ে বিকশিত হবে।