চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কে পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যথারীতি গণপরিবহণ চলাচল করবে সড়কটিতে।
আলীকদম ও লামা থেকে জরুরী প্রয়োজনে রোগী ও শুধুমাত্র একই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রিজার্ভ ছাড়া নিয়মিত যাত্রী বহন করে তিন চাকার কোন যানবাহন চকরিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না।
অপরদিকে চকরিয়া থেকে কোনভাবেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা (টেক্সি), মাহিন্দ্রাসহ তিন চাকার কোন বাহন লামা-আলীকদমে যেতে পারবে না। এমন শর্তে দুইদিনের মাথায় আহুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।
বুধবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানান চট্টগ্রাম-লোহাগাড়া-চকরিয়া-লামা-আলীকদম বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা পারভেজ।
সম্পাদক জানান- লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলামের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবহণ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বুধবার রাতে লামায় জরুরী বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় সার্বিক আলোচনা শেষে উপরোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, লামা ও আলীকদম থানার ওসিদ্বয়,
দুই থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, আরকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বি-৭২৬এর যুগ্ম সম্পাদক কামাল আজাদ, চট্টগ্রাম-লোহাগাড়া-চকরিয়া-লামা-আলীকদম বাস মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা পারভেজ, চকরিয়া-লামা-আলীকদম জীপ মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ, সম্পাদক জাফর আহমদ, আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বি-৭২৬এর অন্তর্ভুক্ত রোড় কমিটির সভাপতি রফিক আহম্মদ, সম্পাদক রফিক উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আবদু সালাম, লামা-আলীকদম সিএনজি সমিতির সভাপতি নবী হোসেন, সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব সহ প্রমুখ।
তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার এই সড়কটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে। এতে দুইদিন ধরে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ধর্মঘটের কারণে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।