পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সজাগ থাকতে হবে

সমন্বয় সভায় গোলাম আকবর খোন্দকার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের কিছু কুচক্রী মহল এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, সনাতনী সমপ্রদায়ের আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব পালনে যাতে কোন কুচক্রী মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য সজাগ থাকতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে প্রশাসনসহ প্রতিটি পূজা আয়োজকদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা প্রদানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পরাজিত শক্তিগুলো বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সে দিকে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কোনো অপশক্তিকে সুযোগ দেয়া যাবে না।

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে তিনি গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম প্রধান বক্তা ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিশেষ বক্তা ছিলেন।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, হিন্দু সমপ্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আসন্ন এই উৎসব উপলক্ষে পতিত সরকারের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। আওয়ামী অপশক্তি নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তাই কোনো অপশক্তি যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এদেরকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া হবে না।

ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীরা মণ্ডপভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছে। পূজামণ্ডপ, উপজেলা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিএনপি দিনরাত পাহারা দিবে। কোনো অপশক্তিকে সুযোগ দেওয়া হবে না। তাদের কঠোরভাবে দমন করে একটি সুন্দর ও অসামপ্রদায়িক দেশ গঠন করার জন্য সকলে কাজ করবো।

সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, কর্নেল আজিমুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক আজম খান ও পূজা উদযাপন পরিষদের কমলেন্দু শীল, বিপ্লব পার্থ, জুয়েল চক্রবর্তী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষক দিবসে বাকবিশিসের আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধপার্বত্য চট্টগ্রামে কঠিন চীবর দানোৎসব না করার ঘোষণা