পবিত্র আল্‌-আকসা-পৃথিবীর মুসলমানদের প্রাণ, অহংকার

ডা. মোহাম্মদ ওমর ফারুক | মঙ্গলবার , ১ জুন, ২০২১ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

‘মহিমান্বিত (আল্লাহ তায়ালা), যিনি তাঁর (এক) বান্দাকে রাতের বেলায় মাসজিদে হারাম থেকে মাসজিদে আকসায় নিয়ে গেলেন, যার পারিপার্শ্বিকতাকে আমি (আগেই) বরকতপূর্ণ করে রেখেছিলাম, (উদ্দেশ্য ছিলো) আমি যেন তাকে আমার (দৃশ্য- অদৃশ্য) কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি; অবশ্যই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বস্রষ্টা’- সূরা বনী ইসরাঈল- ১। পৃথিবীর মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল নব্বীর পরে মাসজিদুল আকসার অবস্থান- কারণ মুসলমানদের প্রথম কেবলা ছিল মাসজিদুল আকসা বা বাইতুল মোকাদ্দাস। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ১৬ বা ১৭ মাস মাসজিদুল আকসাকে কেবলা ধরে নামাজ আদায় করেছেন, যেটি সহীহ বুখারী শরীফের কিতাবুল ঈমান অংশে বর্ণিত হয়েছে। হযরত বারা’ ইবনে আজেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) মদিনায় এসে প্রথমে আনসারদের মধ্যে তার নানা বাড়ী অথবা মামা বাড়ীতে অবতরণ করেন। আর তিনি ১৬ কিংবা ১৭ মাস পর্যন্ত বাইতুল মোকাদ্দাসর দিকে মুখ করে নামাজ পড়েন। (এ সময়) তিনি কাবাগৃহের দিকে কিবলা হওয়ার বাসনা পোষণ করতেন। মদিনায় হিজরতের পরও রাসূল (সাঃ) মাসজিদুল আকসামূখী হয়ে নামায পড়তেন, ইয়াহুদী ও অপর আহলে কিতাবেরা তা মনঃপুত হত। কিন্তু তিনি যখন কা’বা গৃহের দিকে মুখ ফেরালেন, তখন তারা এতে অসন্তুষ্ট হল- সহীহ বুখারী-৩৯। পুরো কুরআন শরীফে দুইটি মসজিদের নাম আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল আকসা। সূরা তওবার ১০৭ নাম্বার আয়াতে মাসজিদুল যেরার নামে একটি মসজিদের নাম বর্ণিত রয়েছে যেটা মুনাফিকদের মসজিদ নামে অভিহিত। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে: ‘আল্লাহ তায়ালার সহিত কুফরি করা, মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করা, যে সব লোক আল্লাহ তায়ালা ও তার নবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাদের জন্য গোপন ঘাঁটি করা’। আজ পবিত্র মসজিদুল আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের উপর আল্লাহর দুষমন বর্বর ইহুদি জাতি পৈশাচিকভাবে নগ্ন হামলা চালিয়েছে পবিত্র রমজানের প্রথম দিন। একদিকে সম্মানিত ইমাম সাহেব আল্লাহর কালাম থেকে সুললিত কন্ঠে তেলোয়াত করছেন আর অন্যদিকে তুমুল যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি নামাজী মুসল্লী ও বর্বর ইসরায়েল বাহিনী। তাদের ছোঁড়া সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে মসজিদুল আকসার পবিত্র প্রান্তর হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত, মুসল্লীদের উপর লাঠি-পেটা, কাঁদানে গ্যাসসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হিংস্র ইহুদি বাহিনী। অথচ তাদেরকে নিয়েই আমার রাসূল ১৪০০ বছর আগে মদিনায় কায়েম করেছিলেন ইসলামী রাষ্ট্র। মুসলমান, খ্রিষ্টান, ইহুদি ও অগ্নি উপাসকেরা এ রাষ্ট্রে ছিলেন অত্যন্ত নিরাপদ। আজ সেই বর্বর ইহুদি বাহিনী ১৪০০ বছর পর এসে নিরস্ত্র মুসল্লীদের উপর অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের আকাশ বাতাস ভারী করে তুলেছে। এই পবিত্র আকসা বিশ্ব মুসলিমদের প্রাণ, অহংকার। ক্ষত-বিক্ষত, পর্যুদস্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই আজ। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। ওআইসি যেন দন্তবিহীন নেকড়ে বাঘ। নেই কোন মেরুদন্ড, নেই কোন আর্তমর্যাদা। এই প্রতিষ্ঠানটি নির্যাতিত মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি অদ্যাবধি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে লাখো ফিলিস্তিনি আল-আক্‌সা রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ তারা জানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র মেরাজের রাতে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় যাত্রা বিরতি করেছেন এই পবিত্র ভূমিতে। তিনি সমস্ত পয়গম্বরদের মুক্তাদি বানিয়ে নিজেই ইমামতি করেছেন এখানেই। আর এই জন্যেই এই পবিত্র ভূমির সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্ব মুসলিমের আবেগ, হৃদয়নিংড়ানো ভালবাসা। অনেক প্রসিদ্ধ নবী ও রাসূলদের জন্মস্থান এটি। এই পবিত্র ভূমির এক ইঞ্চিও ছাড় দিতে রাজি নয় ফিলিস্তিনবাসীরা। তাইতো এর মাটির প্রতিটি অণুপরমাণু কামড়ে ধরে আছে অবরূদ্ধ ফিলিস্তিনিরা। শাহাদাত এর অমিয় সুধা পান করতে এতটুকু পিছপা হচ্ছে না বীরের জাতি ফিলিস্তিন। ক্ষুদে সোনামনিরাও তীব্রভাবে ঘৃণা করে বর্বর ইহুদি ইসরায়েলি বাহিনীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, ইসরায়েলী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারা কিংবা থুতু নিক্ষেপ করা- এসবই ছোট্ট মাসুম বাচ্ছাদের ঈমানী তেজোদ্দীপ্ত অহংকারের প্রতীক। মাসজিদুল আক্‌সার গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সূরা বাকারার ১৪৩ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যে কেবলার ওপর তোমরা (এতোদিন) প্রতিষ্ঠিত ছিলে আমি তা এ উদ্দেশ্যেই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে করে আমি এ কথাটা জেনে নিতে পারি, তোমাদের মধ্যে কে রসূলের অনুসরণ করে, আর কে তাঁর অনুসরণ থেকে ঘাড় ফিরিয়ে নেয়, তাদের উপর এটা ছিল কঠিন (পরীক্ষা) অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যাদের হেদায়াত দান করেছেন তাদের কথা আলাদা; আল্লাহ তায়ালা এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমান বিনষ্ট করবেন’- এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা এটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে, কিয়ামত পর্যন্ত তারাই এই মসজিদকে ভালবাসবে যাদের অন্তরে ঈমানের দৃঢ়তা রয়েছে, ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং আমার রাসূল(সাঃ)কে অনুসরণ করে এবং যারা বিশ্বাস রাখে যে, রাসূল (সাঃ) যা বলে তা সত্য, যাদের এই বিশ্বাস আছে যে আল্লাহ তায়ালা যা চান তাই করেন, তিনি বান্দাদের উপর যে নির্দেশ দেওয়ার ইচ্ছা করেন সেই নির্দেশই দিয়ে থাকেন এবং সেই নির্দেশ উঠিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা করেন তা উঠিয়ে নেন। আর মুমিনের ভিতর থাকা মুনাফেক তথা মুশরেক এবং কুফরী শক্তি তথা ইহুদী বাহিনী এই মসজিদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রাখবে। এটাই হচ্ছে মুমিন ও মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্য। ২০২১ সালে বিশ্ব মুসলিমের কাছে আল কোরআন এই বার্তা দিচ্ছে যে, তারা যেন বায়তুল মোকাদ্দাসের পক্ষে থাকে এবং সীসা ঢালা প্রাচীর এর মতন ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং ইসরায়েল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। আজ তাই সত্যিকার মুমিন ফিলিস্তিনিরা মাসজিদুল আকসা তথা বায়তুল মোকাদ্দাস রক্ষায় এগিয়ে এসেছে, শতশত ফিলিস্তিনি শিশু, নারী, যুবক, বৃদ্ধ এর রক্ষায় শাহাদাত বরণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। আর ফিলিস্তিনদের পক্ষে অবস্থানকারী শহীদি কাফেলা হামাস এই মসজিদ রক্ষায় দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তাদের সীমিত পরিসরে থাকা অস্ত্র, বারুদ দিয়ে ইসরায়েল ভূ-খন্ডের দিকে রকেট ছুঁড়ছে। কিন্তু দুর্বল হামাস বাহিনী তাদের সাথে পেরে উঠতে পারছে না। বিশ্ব মুসলিমদের মতন আমাদেরও সমর্থন থাকবে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং বাংলাদেশ সরকারও তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। আমার রাসূল (সাঃ) যেমন এই মসজিদকে ভালবেসেছেন এবং এখান থেকেই উর্ধ্বালোকে গমন করেছেন তেমনি আমাদেরও উচিৎ এই বায়তুল মোকাদ্দাস রক্ষায় এগিয়ে আসা। তাহলেই বোঝা যাবে আমরা রাসূল(সাঃ)কে এত্তেবা করি তথা ভালবাসি। যারা এই পবিত্র মসজিদকে ইহুদি তথা অমুসলিম দের হাতে তুলে দিতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিমের কঠোর থাকা ঈমানের দাবী। আর একথা বুঝতে পেরে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনেরা নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কাফের ইহুদীদের বিরুদ্ধে। তেমনি একটি সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে: ফিলিস্তিনি গাজা অঞ্চলে সদ্য বিবাহিতা ডাঃ সাহাবা করীম প্রতিদিন ভোরে সালাতুল ফজর আদায় করে বেরিয়ে পড়েন পাথর সংগ্রহের কাজে। তিনি নিজেও অংশগ্রহণ করেন পাথর ছোঁড়ার যুদ্ধে। স্থানীয় সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাস করেছিল, আপনি তো ডাক্তার, তারপর নববধূ আপনি কেন ফুলের বিছানা ছেড়ে পাথর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন? জবাবে তিনি বলেন, আমি শহীদ সুমাইয়া (রাঃ) এর উত্তরসূরী, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে ফুলের বিছানা আমার জন্য নয়, আমার ফুলের বিছানা হবে জান্নাতে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছোট ছোট ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরেরা দখলদার ইসরায়েলী পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারছে অথবা তাদের পিতা-মাতাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে কিংবা গলার উপর বুটের তলা দিয়ে চেপে ধরেছে কিংবা ফুটবলের মত লাথি মেরে অনেক দূরে নিয়ে যাচ্ছে, ৮ বছরের কিশোরীকে পিছনে হাত মোড়ানো অবস্থায় ফেলে রেখেছে, মস্তক বিহীন নিজের শিশু পুত্রকে প্রদর্শন করছেন। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ৩ বা ৪ বছরের একটি শিশু নিজের খন্ডিত ডান হাত ধরে আছে। এভাবে হৃদয়বিদারক অনেক ছবি কিংবা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে পাষাণ হৃদয়ের মানুষও কান্না সংবরণ করতে পারবেন না। ইহুদি বর্বর গোষ্ঠী এভাবে অপবিত্র করছে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের প্রাণ বায়তুল মোকাদ্দাস। যদিও তারা এটাকে তাদেরও পবিত্র স্থান মনে করেন কিন্তু আমার আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম গ্রহণযোগ্য হবে না, যা সূরা আল্‌-ইমরানের ১৯ আয়াতে বিধৃত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি এই যে, ইহুদিরা পুরো বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হাতে রয়েছে অর্থনীতি, ব্যাংক, বীমা, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, মিডিয়া- সবকিছুতেই তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত। এরা আমার রাসূল(সাঃ)কে অবিরাম কষ্ট দিয়েছে তৎকালীন যুগে। তারা মাদানী যুগে রাসূলের জামানায় নির্বাসিত হয়েছে, আবার উত্থানও হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইসরায়েলদেরকে ক্ষমতা ও ধন সম্পদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করবেন। তাদেরকে মুসলিমদের উপর বিজয় দান করবেন, ‘অতপর আমি তাদের ওপর (বিজয় দিয়ে) দ্বিতীয় বার তোমাদের (সুদিন) ফিরিয়ে দিলাম এবং ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে তোমাদের আমি সাহায্য করলাম, (সর্বোপরি জনপদে) আমি তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ করলাম’- সূরা বনী ইসরাঈল-৬। ১৪০০ বছর পর পবিত্র কোরানের এই আয়াতটি আজকের অবস্থা জানান দিচ্ছে। তবে তাদের এই অবৈধ দখলদারিত্ব, অন্যায় হত্যাকান্ড, বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ সবকিছু একদিন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিবেন আর এটাই বর্ণিত রয়েছে আল্লাহ তায়ালার কিতাবে, ‘যদি তোমরা কোনো ভালো কাজ করে থাকো তা করেছো তোমাদের নিজেদের জন্যে। তোমাদের কেউ যদি কোনো মন্দ কাজ করে থাকো, তার দায়িত্বও একান্তভাবে তার নিজের ওপর; অতপর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতির সময় হাযির হলো (তখন আমি আরেক দলকে তোমাদের মোকাবেলার জন্যে পাঠিয়েছিলাম), যেন তারা তোমাদের মুখমন্ডল কালিমাচ্ছন্ন করে দিতে পারে, যেমন করে প্রথমবার এ (আক্রমণকারী) ব্যক্তিরা মাসজিদে (আকসায়) প্রবেশ করছে (আবারও) যেনো তারা মাসজিদে প্রবেশ করতে পারে এবং যে যে জিনিসের ওপর তারা অধিকার জমাতে পারে তা ধ্বংস করে দিতে পারে’- সূরা বনী ইসরাঈল-৭। প্রথমবার যখন হযরত ওমরের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাদ্দাসে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা ঢুকেছিল তোমাদের দ্বিতীয় উত্থানের শেষের দিকে, তোমাদের ধ্বংসযজ্ঞ যখন শেষ হবে তখন আবার বিজয়ী বেশে বায়তুল মোকাদ্দাসে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা বিজয়ীরা ঢুকবে। ইহুদিরা যে আকাশচুম্বী প্রাসাদ নির্মাণ করেছে, ফেতনা-ফাসাদের প্রাসাদ নির্মাণ করেছে, ক্ষমতার প্রাসাদ নির্মাণ করেছে তা সম্পূর্ণরূপে ধসিয়ে দেওয়া হবে।
লেখক: সিনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালো বিড়াল
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত ও বিভ্রান্ত জনমানুষ