মহেশখালী–কক্সবাজার নৌপথের মহেশখালী জেটিতে যাত্রী পারাপারের সুবিধার্থে আনা সরকারি পন্টুন স্থাপন করতে দেয়নি মহেশখালী পৌর কর্তৃপক্ষ। পন্টুনটি জেটিতে ভিড়তে দেয়নি পৌর কর্মচারীরা। তারা পন্টুনটি সাগরে ভাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহেশখালী জেটিঘাটে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া বলেন, ঘাটটি পৌরসভার। ওখানে পন্টুন স্থাপন করতে হলে আমাদের অফিশিয়ালি জানাতে হবে। ওই ঘাট থেকে আমরা কোনো টোল আদায় করি না। এখন পন্টুন বসিয়ে জনগণকে একটি টোলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি বাড়াতেই বিআইডব্লিউটিএ সবাইকে অন্ধকারে রেখে এমন কাজ করছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালী–কঙবাজার নৌপথে পারাপারে মহেশখালী পয়েন্টে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নানা ভোগান্তিতে আছেন উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। সেই ভোগান্তি কমাতে মহেশখালীর মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালী–কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক একটি পন্টুনের জন্য তদবির করে আসছেন। তার তদবিরের ফলে যাত্রী উঠা নামার সুবিধার্থে রোববার সকালে বিআইডব্লিউটিএ মহেশখালী ঘাটে একটি পন্টুন স্থাপন করে। কিন্তু স্থাপনের পরপরই মহেশখালী পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০–১৫ জন পৌরসভার কর্মকর্তা–কর্মচারী মিলে পন্টুনের দড়ি কেটে দুটি ডেনিশ বোট দিয়ে টেনে পন্টুনটি সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, সরকারি সম্পদ নষ্ট ও ক্ষতির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।