রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ‘অসাধারণ ব্যক্তি’ ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ অসত্য প্রমাণে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনিই হচ্ছেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। তার মনোনয়নপত্রে দলের পক্ষে প্রস্তাবক হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সমর্থক হিসেবে রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। খবর বিডিনিউজের।
ইসিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর সঙ্গে থাকা হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. সাহাবুদ্দিন মাঠের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা, যার মধ্যে ভদ্রতা, নম্রতা, একইসাথে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সব কিছুরই সমন্বয় আছে।
ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহাবুদ্দিনের ভূমিকা স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন, দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন এবং সেই অপরাধে ২০ আগস্ট অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ৩ বছরের বেশি সময় তিনি কারাগারে অবরুদ্ধ ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনিয়র জজ হিসেবে অবসরের পর তাকে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেন এবং সেই দায়িত্ব পালনকালে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ যে অসত্য, সেটি তুলে ধরতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আপনারা জানেন, পদ্মা সেতুতে যে কোনো দুর্নীতি হয়নি সেটি কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অনাগ্রহ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির তো দেশটা নিয়েই কোনো আগ্রহ নেই। তাদের সমস্ত আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে তারেক রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া। আসলে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অশ্রদ্ধাশীল বিধায় বিএনপি এ ধরনের কথা বলতে পারে যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এর অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপির পদযাত্রায় সংঘর্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তো সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা তৈরির অসৎ উদ্দেশ্যেই ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় ছিল, শান্তি সমাবেশ করেছে, সেজন্য তারা সারা দেশে সেভাবে বিশৃঙ্খলা করতে পারেনি। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র উঁচিয়ে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসীরা সেইসব সমাবেশে যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আর তাদেরকে ২০১৩–১৪–১৫ সালের মতো সেই পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ দেবে না।