বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে। তবে পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়ে আবারও নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। শুধু তাই নয় সমর্থকদের দাবিতে গদি ছাড়বেন না তিনি। এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে চাওয়া হলে পদত্যাগ করবেন বলে মন্তব্য করেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী সরকার বাফুফেতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এটাও জানেন বাফুফে সভাপতি। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বাফুফে সভাপতি বলেন আমি পদত্যাগ করব না। নির্বাচন করব। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন কীভাবে। তবে সরকার বললে বিষয়টি বিবেচনায় রাখতেন বলে জানিয়ে সালাউদ্দিন বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বললে আমি ব্যাপারটা ভেবে দেখতাম। কিন্তু কোথা থেকে কিছু ছেলেপেলে আমাকে হুমকি দেবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওরা নিজেদের বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস বলেছে। আর বলছে আমাকে যেখানে পাবে, সেখানেই নাকি মারবে। এটা তো ওরা বলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন তারা আমাকে বলছে, আমি যেন বলি আর নির্বাচন করব না। কিন্তু তারা বলার কে। আপনি তখনই আমার পদত্যাগের কথা বলতে পারতেন যদি ফেডারেশনে নির্বাচন না হতো। নির্বাচন হবে ২৬ অক্টোবর। আপনি নিজে নির্বাচন করেন। আমার বিরুদ্ধে আপত্তি করার কে। আমি কিন্তু ২০০৮ সালে নির্বাচন করে চেয়ারে বসেছি। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। বাদল রায়, সালাম মুর্শেদী, হারুনুর রশীদ, এদের বিপক্ষে নির্বাচন করেছি। আমি নির্বাচন করেই এসেছি। আপনিও নির্বাচন করে আসুন। গায়ের জোরে কোন কিছু করা যাবে না। তাই আমি পদত্যাগ নয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছি। কাজি সালাউদ্দিন দীর্ঘ ১৬ বছর ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। তার আমলে ফুটবলে উন্নতির চেয়ে অবনতির জন্যই বেশি আলোচনা হয়েছে। সালাউদ্দিনের অনেক ঘনিষ্ঠজনদের মতেও এবার বাফুফের নেতৃত্বে বদল প্রয়োজন।